ঢাকা: প্রতিটি মুহূর্ত কিভাবে সংবাদের হয়, সংবাদে হয়। দিন রাত ২৪টা ঘণ্টা, দিনের পর দিন, সপ্তাহের সাতদিন।
আর এ জন্যই তো বাংলা ভাষায় অনলাইন নিউজপোর্টালের মধ্যে এক নম্বর এ সংবাদমাধ্যমটি। দিনের পর দিন, বছরের পর বছর এটি ধরে রাখাও যে একটি চ্যালেঞ্জ, তা মোকাবিলা করেই শীর্ষস্থান আমাদের।
নিউজরুমে একরাতে, ১৪ আগস্ট দিনগত রাত বোধ হয়। ওই দিন সকালে কোনো একটি জেলায়, কোনো এক বিষয়ে (তরুণসংঘ ঘরানার খবর) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সে খবরও স্থান পেয়েছে বাংলানিউজে। আমি জানতাম না। তবে হঠাৎ ভোররাতে ফোন। ওই সভায় উপস্থিত এক ব্যক্তির ফোন ছিল সেটি। ধরা হলো ফোন। বললেন, ‘ভাই রাতেই শুনেছি বাংলানিউজ নাকি আমাদের এ ছোট্ট আয়োজনের নিউজ ছেপেছে। এক বন্ধু ফেসবুকে লিংক দিলো আমাকে। এতে আমাদের সবার নামও আছে। তা দেখে এত্তো ভালো লাগলো যে বলে বোঝাতে পারবো না। শেষে বাধ্য হয়েই নিজের আনন্দ প্রকাশ করতে এতো রাতে ফোন দিলাম’।
এমন হাজারো-লাখো মানুষের প্রতিদিনের অনুভূতির সঙ্গে জড়িত বাংলানিউজ। মানুষের সঙ্গে সংযোগ- যা কিনা ‘ম্যাস কমিউনিকেশনের’ প্রধান উপজীব্য, বৈশিষ্ট্য। তার পুরোপুরিতে ঠাসা এই নিউজপোর্টাল। শুধু খবরে নয়, ছবিতেও। আর এটি সম্ভব হয়েছে এখানকার প্রতিটি কর্মীকে এক একটি নিউজম্যানের আকৃতিতে এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন গড়ে তুলেছেন বলে। সঙ্গে রয়েছেন হেড অব নিউজ মাহমুদ মেনন, আউটপুট এডিটর জাকারিয়া মন্ডল ভাইরা। পিঠের ওপর দাঁড়িয়ে প্রতিটি কর্মীকে সাহস ও সরাসরি সাংবাদিকতা চর্চার ভিত্তি গড়তে তাদের তুলনা খোঁজাও পাপ।
প্রতিটি করেসপন্ডেন্ট এখানে সবার আগের খবরটি খুঁজে আনতে মরিয়া। পাল্লা চলে টেলিভিশনের আগে যে কোনো খবর তুলে দেওয়ার। রাতও চলে মহাকর্মযজ্ঞ। সমান তাল প্রতিটি সময়েই। যাতে পাঠক কী তেঁতুলিয়া, কী টেকনাফে যান- নিজের হাতের ফোন-ট্যাব কিংবা পিসিতে বসে এক ঝলক চোখ বুলিয়ে নিলেই তিনি হয়ে যাচ্ছেন সর্বশেষ আপডেট ব্যক্তি। এটাই তো বাংলানিউজ।
আর শুধু কি দেশ, বিদেশেও বিপুল পাঠকুল রয়েছে নিউজপোর্টালটির। সব মিলিয়ে পাক্কা ২ কোটির কাছাকাছি পাঠক ধরে ফেলেছে বাংলানিউজ। প্রতিদিনই তাদের কাছে চলে যাচ্ছে খবর।
এখানে প্রতিটি কর্মী একজন নিউজম্যান। আধুনিক যুগের সংবাদমাধ্যমে নিউজম্যান হওয়া ছাড়া যে পূর্ণ সাংবাদিকতা করা সম্ভব নয় এর উদাহরণও বাংলানিউজ। এই যে এতো কিছু করা, এতো এগিয়ে চলা এ সূত্র সংবাদ মাধ্যমটির হাল এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনের হাতে বলেই। তিনিই তো অন-লাইন পত্রিকার জনক। তিনিই শিখিয়েছেন দিন-রাতের নিউজম্যান টেন্ডেন্সি। রাত-গভীর কিংবা প্রত্যুষে; কিংবা দিন-রাতের যে কোনো সময়ে তিনি রয়েছেন। দেখে চলেছেন। নজর রেখে যাচ্ছেন। টানা ১৬ ঘণ্টা অফিসে তার উপস্থিতি। বাংলানিউজে প্রকাশিত প্রতিটি শব্দের সঙ্গে পরিচিত তিনি। প্রতিটি কাজে থাকে তার পরামর্শ, মতামত ও পূর্ণ দিক-নির্দেশনা।
লেখক: নিউজরুম এডিটর, বাংলানিউজ
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৫
আইএ/