‘চট্টগ্রাম প্রতিদিন’ বিভাগটি চেনেন না, এমন সংবাদকর্মী বৃহত্তর চট্টগ্রামে খুব কমই আছেন।
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের কল্যাণে প্রিন্ট ও অনলাইনে কর্মরত সবাইকে এই বিভাগে দিনে বেশ কয়েকবার ঢুঁ মারতে হয়।
১ জুলাই এই নতুন ধারার সংবাদমাধ্যমটি ষষ্ঠ বছরে পদার্পণ করেছে। এ সময়ের মধ্যে এতো জনপ্রিয়তা আর কোনো অনলাইন নিউজ পোর্টালের ভাগ্যে জোটেনি। শ্রদ্ধেয় এডিটর-ইন-চিফ আলমগীর হোসেন নতুন প্রজন্মের সংবাদকর্মীদের অনেক কিছু শিখিয়েছেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের মাধ্যমে। আমরা যারা এই নিউজ পোর্টালে কাজ করি না, তারাও যে নিজেদের অজান্তে বাংলানিউজকে ভালোবেসে ফেলেছি-তা আজ স্বীকার করতেই হবে।
এই সংবাদমাধ্যমটির চট্টগ্রামের ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট রমেন দাশগুপ্ত, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট মো. মহিউদ্দিন, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট উজ্জ্বল ধর ও সোহেল সরওয়ার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আবদুল্লাহ আল মামুন ও বিপ্লব পার্থ, নিউজরুম এডিটর ইসমেত আরা, কমার্শিয়াল ম্যানেজার সাজু চৌধুরী, কমার্শিয়াল সহকারী রফিকুল ইসলাম ও অফিস সহকারী মো. রুবেলকে নিয়ে সেজেছে চমৎকার একটি দল। তাঁদের কল্যাণে সংবাদ পিপাসা মিটছে দ্রুত। নিজেদের তৈরি করা সংবাদের সঙ্গে বাংলানিউজের সংবাদটাও একবার পড়ে মিলিয়ে নিতে পারছি। সবার আগে সংবাদ আপলোড করার কৃতিত্ব যে তাদেরই।
ঢাকা থেকে কনসালট্যান্ট এডিটর জুয়েল মাজহার, হেড অব নিউজ মাহমুদ মেনন, আউটপুট এডিটর জাকারিয়া মন্ডলসহ বাংলানিউজ পরিবারের সবাই মিলে কাজের ক্ষেত্রে যে পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন তা সহকর্মী বন্ধুদের কাছে শুনে কেমন যেন হিংসাই হয়। তখন আমরা ভাবি- সবগুলো কর্মক্ষেত্র যদি বাংলানিউজের মতো হতো!
আন্তর্জাতিক অনলাইন র্যাংকিংয়ে অ্যালেক্সা.কম এর তালিকায় বিশ্বের তিন কোটি সাইটের মধ্যে বাংলানিউজের অবস্থান এখন ৯৯৫। মুক্তমত, ফিচার, উপকূল থেকে উপকূল, ট্রাভেলার্স বিভাগগুলো বাইরের লেখকদের লেখা প্রকাশ করে সবার মাঝে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে এই সংবাদমাধ্যম।
প্রায় ২ কোটি পাঠকের আস্থাভাজন হয়েছে এই নিউজ পোর্টাল।
বাংলানিউজ তাই হয়ে উঠেছে জ্ঞান আহরণের উৎসস্থল, সংবাদকর্মী সৃষ্টির কারখানা, অনুসন্ধিৎসু মানুষের লিখবার অনুপ্রেরণা।
লেখক: সহ সম্পাদক, দৈনিক পূর্বদেশ
বাংলাদেশ সময়: ০৮১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৫
এসএস/এএসআর