ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

সিলেটে বিমানের সেবা নিয়ে যাত্রীর পরামর্শ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
সিলেটে বিমানের সেবা নিয়ে যাত্রীর পরামর্শ

আমি সিলেট শহরে বসবাস করি। ব্যক্তিগত প্রয়োজনে প্রতি মাসেই আমাকে ঢাকাতে যেতে-আসতে হয় এবং আমি সবসময় বাংলাদেশ বিমানে ট্রাভেল করি। আর সেই ট্রাভেল করার অভিজ্ঞতা থেকে আমার কিছু মতামত আমি বাংলানিউজের মাধ্যমে সংশ্লিট কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

আশাকরি আমার মতামতটি যথাযথ কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়িত করলে বিশেষ করে সিলেটগামী যাত্রীরাও সন্তুষ্ট থাকবেন এবং বিমানের রাজস্ব বাড়বে, কোন প্রকার অতিরিক্ত খরচ ছাড়া।

আমি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে সন্ধ্যা ৫:৩০ বা ৫:৪৫ বা ৬:০০ টার সময় পরপর তিনটি ফ্লাইটেও ঢাকা থেকে সিলেট ভ্রমণের সময় একটি বিষয় লক্ষ্য করতাম যে, যাত্রী সংখ্যা খুবই কম।

আর থাকাটাও স্বাভাবিক। কারণ বিমানতো আর জোড় করে যাত্রী সংখ্যা বাড়াতে পারবে না। আর বিমানকে বাধ্য হয়েই সিলেটে রুটে ফ্লাইট চালাতে হয়। আর তারও প্রধান ও একমাত্র কারণ হল বিমান যে ফ্লাইট নিয়ে ঢাকা থেকে সিলেটে আসে এবং আসার পরপরও সিলেট থেকে আবার ঢাকার উদ্দেশে পরের দিনের অন্য ফ্লাইটের লন্ডনগামী যাত্রীদেরকে নিয়ে যেতে হয়।

কিন্তু আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে বিমানের যে ফ্লাইট গুলো ৫:৩০ বা ৫:৪৫ বা ৬:০০ ঘটিকার সময় ঢাকা থেকে সিলেট আসবে এবং আসার পর প্রায় ১২ ঘন্টা পর তথা পরের দিন সকাল ৬:২০ বা ৬:২৫ বা ৬:৩০ ঘটিকার সময় একই দিনের অন্য ফ্লাইটের লন্ডনগামী যাত্রীদেরকে সিলেট থেকে ঢাকায় নিয়ে যাবে।

এখন আমার মতামত বা পরামর্শ হল যেহেতু বিমানের দুইটি মাঝারি আকারের ও একটি ছোট আকারের বিমান সহ সর্বমোট তিনটি ফ্লাইট অথবা বড় আকারের একটি ফ্লাইট সন্ধ্যা ৬:০০ ঘটিকার সময় ঢাকা থেকে সিলেটে না এসে বরং আরো ২-৩ ঘন্টা পর আসলে আমার ধারণা ও বিশ্বাস ঢাকা থেকে সিলেটগামী বিমানের একটি সিটও খালি থাকবে না।

কারণ আমরা সকলেই জানি, ইত্তিহাদ, কাতার ও আমিরাত এয়ারলাইনসের কয়েকটি ফ্লাইট বিকাল ৪:০০ থেকে ৫:০০টার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে আর এই তিন আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে তিন ভাগের একভাগ যাত্রী থাকে সিলেটের। তাতে করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে আসা সিলেটের যাত্রীরা সহজেই বাংলাদেশ বিমানের সিলেটগামী অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটি ধরতে পারবে। এতে করে বিমানও পর্যাপ্ত যাত্রী পাবে আর যাত্রী পেলে বিমানেরও রাজস্ব বাড়বে। তাতে করে বিমান ও যাত্রী উভয়ই লাভবান হবে।

আরো একটি কথা আমার উক্ত  মতামত বা পরামর্শটি চাইলে এখন থেকেও বাস্তবায়িত করা যাবে যদি সঠিক ভাবে পরিকল্পনা করা হয়। জানুয়ারি থেকে না পারলেও ফেব্রুয়ারি থেকে অবশ্যই অবশ্যই বাংলাদেশ বিমানের সিলেটগামী অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটি ২-৩ ঘন্টা পিছিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।

আমি এখন ঢাকা থেকে সিলেটগামী ফ্লাইটের সন্ধ্যা ৫:৩০ বা ৫:৪৫ বা ৬:০০ টার সময় বিমানের যাত্রী সংখ্যার একটি আনুমানিক পরিসংখ্যান উল্লেখ করব। দুইটি মাঝারি ও একটি ছোট অথবা বড় আকারের একটি বিমানের সিট সংখ্যা হল প্রায় ৪০০ কিন্তু যাত্রী থাকে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ১০০ জন। এমনকি অনেক সময় আমি দেখেছি যাত্রী ছিল ১০ থেকে ২০ জন। আর সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমার আজকের মতামতটি তুলে ধরলাম।

বাংলাদেশ সময় ১৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এমএমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।