আশাকরি আমার মতামতটি যথাযথ কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়িত করলে বিশেষ করে সিলেটগামী যাত্রীরাও সন্তুষ্ট থাকবেন এবং বিমানের রাজস্ব বাড়বে, কোন প্রকার অতিরিক্ত খরচ ছাড়া।
আমি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে সন্ধ্যা ৫:৩০ বা ৫:৪৫ বা ৬:০০ টার সময় পরপর তিনটি ফ্লাইটেও ঢাকা থেকে সিলেট ভ্রমণের সময় একটি বিষয় লক্ষ্য করতাম যে, যাত্রী সংখ্যা খুবই কম।
কিন্তু আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে বিমানের যে ফ্লাইট গুলো ৫:৩০ বা ৫:৪৫ বা ৬:০০ ঘটিকার সময় ঢাকা থেকে সিলেট আসবে এবং আসার পর প্রায় ১২ ঘন্টা পর তথা পরের দিন সকাল ৬:২০ বা ৬:২৫ বা ৬:৩০ ঘটিকার সময় একই দিনের অন্য ফ্লাইটের লন্ডনগামী যাত্রীদেরকে সিলেট থেকে ঢাকায় নিয়ে যাবে।
এখন আমার মতামত বা পরামর্শ হল যেহেতু বিমানের দুইটি মাঝারি আকারের ও একটি ছোট আকারের বিমান সহ সর্বমোট তিনটি ফ্লাইট অথবা বড় আকারের একটি ফ্লাইট সন্ধ্যা ৬:০০ ঘটিকার সময় ঢাকা থেকে সিলেটে না এসে বরং আরো ২-৩ ঘন্টা পর আসলে আমার ধারণা ও বিশ্বাস ঢাকা থেকে সিলেটগামী বিমানের একটি সিটও খালি থাকবে না।
কারণ আমরা সকলেই জানি, ইত্তিহাদ, কাতার ও আমিরাত এয়ারলাইনসের কয়েকটি ফ্লাইট বিকাল ৪:০০ থেকে ৫:০০টার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে আর এই তিন আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে তিন ভাগের একভাগ যাত্রী থাকে সিলেটের। তাতে করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে আসা সিলেটের যাত্রীরা সহজেই বাংলাদেশ বিমানের সিলেটগামী অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটি ধরতে পারবে। এতে করে বিমানও পর্যাপ্ত যাত্রী পাবে আর যাত্রী পেলে বিমানেরও রাজস্ব বাড়বে। তাতে করে বিমান ও যাত্রী উভয়ই লাভবান হবে।
আরো একটি কথা আমার উক্ত মতামত বা পরামর্শটি চাইলে এখন থেকেও বাস্তবায়িত করা যাবে যদি সঠিক ভাবে পরিকল্পনা করা হয়। জানুয়ারি থেকে না পারলেও ফেব্রুয়ারি থেকে অবশ্যই অবশ্যই বাংলাদেশ বিমানের সিলেটগামী অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটি ২-৩ ঘন্টা পিছিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
আমি এখন ঢাকা থেকে সিলেটগামী ফ্লাইটের সন্ধ্যা ৫:৩০ বা ৫:৪৫ বা ৬:০০ টার সময় বিমানের যাত্রী সংখ্যার একটি আনুমানিক পরিসংখ্যান উল্লেখ করব। দুইটি মাঝারি ও একটি ছোট অথবা বড় আকারের একটি বিমানের সিট সংখ্যা হল প্রায় ৪০০ কিন্তু যাত্রী থাকে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ১০০ জন। এমনকি অনেক সময় আমি দেখেছি যাত্রী ছিল ১০ থেকে ২০ জন। আর সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমার আজকের মতামতটি তুলে ধরলাম।
বাংলাদেশ সময় ১৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৭
এমএমকে