ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মুক্তমত

আমরা সাস্টিয়ান আবেগকে লালন করি: কামরুল ইসলাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩২ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
আমরা সাস্টিয়ান আবেগকে লালন করি: কামরুল ইসলাম কামরুল ইসলাম

ঢাকা: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত রূপই হচ্ছে সাস্ট। সাস্টের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রথমদিনের ছাত্র হিসেবে অর্থনীতি বিষয়ে ভর্তি হই। সাস্টে ভর্তি হওয়ার আগে ঢাকার সিভিল এভিয়েশন হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে গর্ববোধ করি। ক্যাম্পাসে ছাত্র অধিকার প্রতিষ্ঠায় সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সরাসরি ভোটে সাস্টের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে নির্বাচিত হয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিলাম ১৯৯৮ সাল থেকে। দীর্ঘ কর্মজীবনে জিএমজি এয়ারলাইন্স, দৈনিক যায়যায়দিন, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্বে ছিলাম। সম্প্রতি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবাসন শিল্পের অন্যতম প্রতিষ্ঠান আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনে হেড অব কাস্টমার সার্ভিস হিসেবে যোগদান করি।

পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে কর্মদক্ষতা এবং রিলেশনশিপের মাধ্যমে ম্যানেজ করার অভিজ্ঞা হয়েছে এভিয়েশন শিল্পে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের এভিয়েশনের ইতিহাসে ইউএস-বাংলার কাঠমান্ডু ফ্লাইট দুর্ঘটনাকালীন কোম্পানির হেড অব মিডিয়া উইংস হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সুযোগ হয়েছে।

সাস্টিয়ান আবেগ, ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ববোধ আর বন্ধুত্ব যা সত্যিই ঈর্শ্বণীয়। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সাস্টিয়ান। দলমত নির্বিশেষে সাস্টিয়ানদের প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সাস্ট ক্লাব। এ ক্লাবের সদস্য হিসেবে আমরা সাস্টিয়ান আবেগকে লালন করি। বাংলাদেশের কোনো গ্রাজুয়েটদের ক্লাবের ফাউন্ডার মেম্বার ৪৯৭ জন, যা সত্যিই অভাবনীয়। আগামী ১৯ জুলাই সাস্ট ক্লাবের প্রথম কার্যকরী কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমি  কামরুল ইসলাম আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করতে যাচ্ছি।
 
সভাপতি পদে নির্বাচিত হলে আমার কর্মপরিকল্পনা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-   
১. অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য ও সহজে যোগাযোগবান্ধব স্থানে সাস্ট ক্লাব স্থানান্তরে জন্য বাস্তবমুখি পদক্ষেপ নেওয়া।
২. দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সাস্ট ক্লাবের জন্য ঢাকার সন্নিকটে স্থায়ী প্লটের ব্যবস্থা করা।
৩. ক্লাবের দৈনন্দিন খরচ ও মাসিক ব্যয় নির্বাহ করার জন্য দ্রুততম সময়ে পদক্ষেপ নেওয়া।
৪. ক্লাবের গঠন প্রক্রিয়াতে বর্তমানে যে সব অসামাঞ্জস্য দৃশ্যমান তা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে নিরূপন করার উদ্যোগ নেওয়া।
৫. সদস্য সংখ্যা ৪৯৭ থেকে কমপক্ষে ৮০০-তে উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া।
৬. সদস্যদের পোষ্যদের জন্য শিক্ষা বৃত্তির ব্যবস্থা করা।
৭. সদস্যদের জন্য বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিটসহ ব্যবসায়িক আউটলেটে ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা করা।
৮. সদস্যদের জন্য বিভিন্ন হসপিটালের সঙ্গে কর্পোরেট চুক্তি করা কিংবা হেলথ ইন্স্যূরেন্সের ব্যবস্থা করা।
৯. ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলের সঙ্গে কর্পোরেট চুক্তি করা, যাতে ক্লাবের সদস্য ও পরিবারবর্গ সারা বছর সুবিধাভোগ করতে পারে।
১০.নির্দিষ্ট মেয়াদের মধ্যে একটি মেম্বার ডিরেক্টরি তৈরি করা।  
১১. স্পোর্টস উইক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন।
১২. লাইব্রেরি কর্নার করার পরিকল্পনা।
১৩. বার্ষিক পিকনিক ও ইফতার আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। জব ফেয়ারের আয়োজন করা।
১৪. সিএসআর’র ব্যবস্থা করা।
১৫. ক্লাবের সদস্যদের জন্য ন্যূনতম সময়ে ফুড কোর্টে ব্যবস্থা করা।
১৬. মিডিয়া উইংস গঠন করার পরিকল্পনা।
সর্বাপরি সব পজিটিভ সিদ্ধান্তের সঙ্গে আছি সবসময়। আমরা জানি, অতীত কর্মকাণ্ডই ভবিষ্যত নির্ধারণের নিয়ামক।  

সাস্ট ক্লাব হচ্ছে সদস্যদের আমানত। এর দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি। সাস্ট ক্লাবের নির্বাচনে সভাপতি পদে আপনাদের দোয়া, সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।