কেননা, তা আসে নতুন আশা নিয়ে, নতুন স্বপ্ন নিয়ে, নতুন প্রত্যয় নিয়ে। সব অশুভ ও অসুন্দরকে পেছনে ফেলে বৈশাখ আসে নতুনের কেতন উড়িয়ে।
শহর কী গ্রাম- কোথায়ও এবার কোনো বৈশাখী উন্মাদনা নেই। নেই চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি কিংবা ফেস্টুনসহ নানা থিমের ঢাউস সাইজের প্রাণীর প্রতিকৃতি তৈরির ব্যস্ততা।
পান্তা-ইলিশ নেই, আয়োজন করা হয়নি বারুণী (গ্রাম্য মেলা) কিংবা নাগরদোলারও; দেশজুড়ে আয়োজন নেই চড়ক পূজার। করোনা পানি ঢেলে দিয়েছে পাহাড়ে বৈসাবী বা বিঝু উৎসবেও। তাই মানুষের মুখেও হাসি নেই।
চারদিকে শুধু আতঙ্ক, বিষাদ আর নিস্তব্ধতা। এখন মানুষ ঘরেবন্দী; রাস্তাঘাট ফাঁকা, দোকানপাট-বিপণিবিতান সবকিছুই বন্ধ। কোনো কোনো জেলা-উপজেলা লকডাউন। অন্যান্য জায়গাতেও জনমানবহীন অঞ্চল!
এরই মাঝেই হয়তো আসছে স্বজনদের আক্রান্ত হওয়ার খবর। মৃত্যুভয়ে আক্রান্ত মানুষ, যন্ত্রণাক্লিষ্ট অসুস্থ শরীর, উদ্বিগ্ন স্বজনেরা এভাবেই দিনাতিপাত করছেন। কর্মহীন হয়ে না খাওয়ার জো খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের।
মুখ থুবড়ে পড়ছে দেশের অর্থনীতি। এ অবস্থায় বাঙালির সার্বজনীন উৎসব পহেলা বৈশাখ এসেছে অনেকটা বিবর্ণ হয়ে। এরপরও ১৪২৭ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিতে হবে।
ঢাক-ঢোলের বাদ্যি কিংবা লালন, হাছন, করিমের গানের আসর বসছে না এবার। আয়োজন নেই মেলার, তাই তো বেজায় মন খারাপ মৃৎ শিল্পীদেরও। কারণ তাদের পকেটের অবস্থাও যে ভালো না!
বাঙালির পহেলা বৈশাখ উদযাপনের রীতি বেশ পুরোনো। বাংলা সনের প্রবর্তন বিষয়ে অনেকেই বলে থাকেন, ভারতবর্ষে শশাঙ্কের সময় থেকেই বাংলা সাল (বিক্রম সাম্বাত পঞ্জিকা, সংস্কৃত ভাষায় লিখিত) অনুসারে রাজ্য শাসন হতো।
আবার এও জানা যায়, ভারতবর্ষের ক্ষমতা মুঘলদের হাতে এলে তারা ইসলামিক বা আরবি ক্যালেন্ডার ‘হিজরি’ অনুযায়ী রাজ্য পরিচালনা করতে শুরু করেন।
মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহির উদ্দিন মুহম্মদ বাবর এবং তাঁর পুত্র দ্বিতীয় মুঘল সম্রাট নাসিরুদ্দিন মুহম্মদ হুমায়ূন হিজরি সাল মতেই দেশ পরিচালনা করেন।
তবে এর ব্যতিক্রম ঘটে তৃতীয় মুঘল সম্রাট জালালুদ্দিন মুহম্মদ আকবরের সময়ে। তিনি চান্দ্র মাসের ক্যালেন্ডার বদলে পুনরায় চালু করেন বাংলা ক্যালেন্ডার।
সূত্রমতে, হিজরি পঞ্জিকা চান্দ্র মাসভিত্তিক হওয়ায় ৩৫৪/৩৫৫ দিনে বছর হয়, যা সৌরবছরের (৩৬৫/৩৬৬ দিনে বছর) চেয়ে ১০/১১ দিন ছোট। ফলে হিজরি পঞ্জিকা অনুযায়ী, একই মাস ঘুরে ঘুরে কয়েক বছর পরে ভিন্ন ঋতুতে আসে। এতে কৃষকের খাজনা দিতে অসুবিধায় পড়তে হয়। কারণ, কৃষকেরা ফসল বিক্রি করে খাজনা দেন।
চান্দ্র মাসের বছর একেক সময় একেক ঋতুতে শেষ হয় বলে তখন ফসল তোলার কাল ঠিক থাকে না। এই অসুবিধা দূর করার জন্য বিচক্ষণ সম্রাট আকবর ইরান থেকে আগত বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী আমির ফতুল্লাহ সিরাজিকে হিজরি চান্দ্র বর্ষপঞ্জিকে সৌরবর্ষপঞ্জিতে রূপান্তরিত করার দায়িত্ব প্রদান করেন।
এভাবেই সৌরবর্ষপঞ্জি বাংলা পঞ্জিকার নবযাত্রা শুরু হয়। খাজনা আদায়ের জন্য তিনি প্রচলন করেন ‘হালখাতা’র। যা হাল-আমলে দোকান বা গদিতে বাকি পরিশোধের অন্যতম বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান বা হিসাব লেখার খাতা খোলার দিন।
‘হালখাতা’র দিনে একে একে দেনাদারেরা আসেন, বাকি পরিশোধ করেন, দোকানিরা তাঁদের মিষ্টি পরিবেশন করেন এবং কুশলাদি বিনিময় করেন। এভাবে একটি আনন্দঘন এবং উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অতীতের সব দায়দেনা মিটিয়ে ব্যবসায়ীদের নতুন বছরের যাত্রা শুরু হয়।
পৃথিবীতে প্রচলিত অধিকাংশ বর্ষপঞ্জির উৎপত্তি কোনো না কোনো ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত, কিন্তু বাংলা নববর্ষ একান্তই সাংস্কৃতিক ও বৈষয়িক।
এর সঙ্গে ধর্মীয় অনুষঙ্গ নেই। এ উৎসবের প্রচলন ঘটে কৃষিকাজ ও খাজনা সংগ্রহের ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। কালক্রমে তা পরিণত হয় বাঙালির সার্বজনীন ও প্রাণের উৎসবে।
প্রাচীনকালে এটি ছিল মূলত গ্রামীণ উৎসব, তখন গ্রামে গ্রামে মেলা বসত, নানা রকমের খেলাধুলার আয়োজন হতো। এমনকি পহেলা বৈশাখের দিন শুরু হওয়া কোনো কোনো মেলা পরবর্তী সপ্তাহ দুয়েক ধরেও চলতো। এখনো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মেলা বসে।
পহেলা বৈশাখ নিয়ে অনেক গান কবিতাও হয়েছে। পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন,
‘এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।
তাপস নিশ্বাস বায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক॥
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক॥
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা। ’’
তবে পাকিস্তান আমলে পূর্ব পাকিস্তানে রবীন্দ্রসংগীত চর্চা নিষিদ্ধ করা হয়। তা উপেক্ষা করে ১৯৬৭ সালে ছায়ানটের শিল্পীরা রমনার বটমূলে সমবেত হয়ে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’- গেয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান।
এরপর ঢাকায় রমনার বটমূলে, নববর্ষ উদযাপনের প্রথা শুরু হয়। যার ব্যপ্তি ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। বিশেষ করে বড়বড় শহরগুলোতে। ধীরে ধীরে এই উৎসবে যুক্ত হয় পান্তা-ইলিশ, নানান রকমের ভর্তাও।
আর ১৯৮৯ সালে এর সঙ্গে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে চারুকলা ইনস্টিটিউট। তবে প্রথম এই শোভাযাত্রার শুরু হয় যশোরে।
বৈশাখের অনুষ্ঠানমালা দেশজুড়ে বেশ সমারোহে উদযাপিত হয়ে আসছে। তবে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব রুখতে এবার দেশে সব ধরনের জনসমাগের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
সংস্পর্শের মাধ্যমেই করোনাভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়াচ্ছে। আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে অন্য মানুষের সংস্পর্শ এড়ানোই নতুন সংক্রমণ ঠেকানোর একমাত্র উপায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে কোভিড-১৯ এর কমিউনিটি ট্র্যান্সমিশন হয়ে গেছে। ফলে তা ছড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় আমাদের অবশ্যই উচিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং প্রয়োজন ছঅড়া ঘর থেকে বের না হওয়া। তবেই এর সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব হতে পারে।
কারণ নভেল করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের সাফল্যের মূলে এই পদ্ধতি-ই। সিঙ্গাপুর এগিয়ে গেছে আরও এক ধাপ। তারা সংক্রমণের উৎস খুঁজে বের করেছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কারা সংস্পর্শে এসেছে, তাদেরও তালিকাভুক্ত করে পর্যবেক্ষণে রেখেছে। এ যাবৎ সিঙ্গাপুরে ৩৪৫ করোনা রোগীর কেউ মারা যায়নি।
আমাদের দেশেও ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানও স্থগিত করা হয়।
করোনা প্রতিরোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানান, পহেলা বৈশাখসহ জনসমাগমের অনুষ্ঠান বাতিল করতে।
এরই মধ্যে জোরদার করা হচ্ছে করোনা পরীক্ষা জোরদার। পর্যাপ্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষার সরঞ্জামাদিও রয়েছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০৩। আর মৃতের সংখ্যা ৩৯। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য মতে, পৃথিবীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি আকারে যেভাবে চারপাশকে ঘিরে ধরেছে, তা একদিন কেটে যাবেই। আবারও পৃথিবী নির্মল হবে। জেগে উঠবে সুনসান শহর-নগরের কোলাহল।
দেশের সিংহভাগ শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং ছোটখাটো কারখানা বন্ধ রয়েছে। স্থগিত রয়েছে গণপরিবহন ও প্লেন চলাচল। ইতোমধ্যে আমদানি-রপ্তানির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
প্রবাসীসহ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। পুরোপুরি ধস নেমেছে পহেলা বৈশাখ কেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যেও। এ অবস্থায় অর্থনীতির ওপর সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব উত্তরণে চারটি মূল কার্যক্রম নির্ধারণের কথা ঘোষণা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে এর সঙ্গে দেশবাসীকে তিনি এও বলেন যে, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। কোনো গুজবেও কান দেবেন না।
এছাড়া ঘরে অবস্থান করে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে নববর্ষকে বরণের আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা।
অর্থনীতির বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা বেশ যুগোপযোগী ও বাস্তবধর্মী। তিনি বলেছেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের অবশিষ্ট তিন মাসে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে এ চারটি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। এগুলো হচ্ছে-১. সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করা। এ ক্ষেত্রে কর্মসৃজনকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।
২. আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ প্রণয়ন। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করা, শ্রমিক-কর্মচারীদের কাজে বহাল রাখা এবং উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখাই হলো আর্থিক সহায়তা প্যাকেজের মূল উদ্দেশ্য।
৩. সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি। এর মাধ্যমে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনগণ, দিনমজুর এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত জনসাধারণের মৌলিক চাহিদা পূরণে বিদ্যমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি করা হবে।
৪. মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা। অর্থনীতির বিরূপ প্রভাব উত্তরণে মুদ্রা সরবরাহ এমনভাবে বাড়ানো হবে, যেন মুদ্রাস্ফীতি না ঘটে। আসন্ন অর্থনীতির ওপর ধাক্কা মোকাবিলায় এ উদ্যোগ বেশ কার্যকর বলেই মনে করি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগের এই সময়ে কৃষি উৎপাদনব্যবস্থাও জোরদারের কথা বলেছেন তার ভাষণে। বীজ, সার, কীটনাশকসহ সব ধরনের কৃষি উপকরণের ঘাটতি যাতে না হয় এবং সময়মতো কৃষকের হাতে যাতে পৌঁছায়, সে ব্যবস্থাও নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
এছাড়া চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকেরা যাতে উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য পান, সে জন্য গত বছরের চেয়ে এবার দুই লাখ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান কেনা হবে। ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য। এতে দেশের কৃষক বাঁচবে।
কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহের জন্য মাননীয় সরকার প্রধান যে পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করার বলেছেন- তাতেও লাভবান হবেন কৃষকেরা। তবে প্রকৃত ও তৃণমূলেও যাতে কৃষকেরা এর সুবিধা ভোগ করতে পারেন সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
গ্রামে চৈত্রসংক্রান্তিতে করলা জাতীয় তিতা খাবার খেয়ে পুরোনো বছরকে বিদায় দেওয়া হয়। আর নতুন বছরে মিষ্টিমুখ করে, ভালোমন্দ খেয়ে নতুন আশায় বুক বাঁধেন মানুষ।
এ দুর্যো গ মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমরাও নববর্ষে এমনই এক নতুন আশায় বুক বাঁধতে চাই যে, করোনায় প্রতিদিন যত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে কিংবা মৃত্যুবরণ করছে, তেমনি সুস্থ হয়ে ঘরেও ফিরছে। ওয়ার্ল্ডোমিটার বলছে, করোনাভাইরাসকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সারা বিশ্বে সেরে উঠেছেন ৪ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ। (সূত্র:www.worldometers.info)। আমাদের দেশের মানুষও সেভাবেই সেরে উঠবেন।
আর নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে এমনটাও প্রত্যাশা করি। ১৪২৭ বঙ্গাব্দে আমরা কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার পঙক্তির মতো, ‘... কাল ভয়ঙ্করের বেশে এবার ঐ আসে সুন্দর!–’ সেই সুন্দর দিন দেখতে চাই। যেখানে সবাই জয়ধ্বনি করবে জীবনের, মানবতার। সব গ্লানি, ঝরা মুছে ভবিষ্যৎ মঙ্গলপানে পতপত করে উড়বে নতুন দিনের কেতন!
লেখক: শিক্ষাবিদ; উপাচার্য, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২০