সোমবার (৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) উদ্যোগে ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছর ও আমাদের গণমাধ্যম’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করা হয়।
সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সমালোচনা করে মান্না বলেন, নির্বাচন স্থগিত করিয়েই থামেনি তারা (সরকার)। ওইদিন কোনো কারণ ছাড়াই তারা বিএনপির সিনিয়র নেতাকেও আটক করেছিল। পরে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ধরে রেখে ছেড়ে দিতে হয়েছে।
‘এসব বিষয় সংবাদমাধ্যমে আসতে পারছে না। এসব লিখলে সাংবাদিকরা অপরাধমূলক আইন জড়িয়ে যাবেন। কিন্তু যারা নির্যাতিত হল তাদের জন্য কোনো আইন নেই এখন দেশে। ’
সম্প্রতি সরকার প্রধানসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে নাগরিক ঐক্যের প্রধান বলেন, কোনো দলকে নির্বাচনে আনতে জোর করতে হবে কেন? আপনারা যে বাধাগুলো সৃষ্টি করছেন সেগুলো সরিয়ে রাখলেই হবে। কেননা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়া একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়।
এ সময় তিনি বলেন, ক্ষমতায় যেই থাকুক কেউই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেয় না। সেটা হোক বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগ। কারণ এতে জবাবদিহিতার সৃষ্টি হবে।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় ওই অনুষ্ঠানে আসা মফস্বল সাংবাদিকরা ১৪ দফা দাবি তুলে ধরেন।
এসব দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সরকার কর্তৃক সারাদেশের পেশাদার সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন ও আইডি নম্বর দেওয়া, দ্রুত সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা, ডিজিটাল আইনের ৩২ ধারা সংশোধন, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধের যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৮
এমএএম/জিপি