ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্যান্য দল

জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে ঐক্যফ্রন্ট: ড. কামাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে ঐক্যফ্রন্ট: ড. কামাল সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। ছবি: বাদল/বাংলানিউজ

ঢাকা: বিএনপিকে নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’ গঠনের পর জোটের নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জনগণের ঐক্যের সামনে কোনো ‘স্বৈরশাসক’ টিকতে পারেনি, পারবেও না। এই লড়াই শুরু হলো, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে শনিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল এ কথা বলেন।  

নতুন এই রাজনৈতিক জোটের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন ফ্রন্টের শরিক ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের মালিক জনগণ। তাই সুষ্ঠু ও বৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতেই মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে। জলকামান বুলেট, গুলি ভয় পাই না। জীবন একটাই, তাই জীবন দিয়ে হলেও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেবো।  

‘বৈধ সরকার গঠন করতে হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধু জনগণের ওপর ভরসা করতেন বলেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতীয় ঐক্য সেই অধিকার ফিরিয়ে দিতে কাজ করবে। ’

জেলায় জেলায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে পৌঁছানোরও আহ্বান জানান ড. কামাল হোসেন।  

একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি জাতীয় ঐক্যের কথা বেশ ক’দিন ধরেই বলে আসছিলেন ড. কামাল। তার সঙ্গে যোগ দেন বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি বি চৌধুরী, জেএসডির আ স ম আবদুর রব ও নাগরিক ঐক্যের মান্না।  

জাতীয় ঐক্যের অন্যতম উদ্যেক্তা হলেও চূড়ান্তভাবে ঘোষণার দিন আলাদা হয়ে যান বি চৌধুরী। তবে বিএনপিসহ অন্য শরিকরা উপস্থিত ছিলেন।  সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।  ছবি: বাদল/বাংলানিউজআ স ম আবদুর রব বলেন, ভোটারবিহীন সরকার জোর করে জনগণের ঘাড়ে চেপে বসে আছে। আজ কারো বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা নেই, যেভাবে মানুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে।  

‘জনগণের ঐক্য হয়েছিল বলেই একাত্তরে দেশ স্বাধীন হয়েছে। সকল গণতান্ত্রিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হবে। এবার মানুষ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আসবে। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে ধৈর্য সহকারে। ’

খালেদা জিয়াকে নেত্রী উল্লেখ করে রব বলেন, আজ আমাদের নেত্রী তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নির্যাতন করা হচ্ছে। এই সরকারের কাছে কেউ-ই নিরাপদ নয়।  

সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে জেএসডির রব বলেন, সরকার বলছে-আমরা নাকি ষড়যন্ত্র করছি? পরিষ্কার জানিয়ে দিতে চাই, কারা ষড়যন্ত্রকারী জাতির জানা আছে। আমরা ষড়যন্ত্র করছি, কোনো মানুষই বলবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের রেহাই নেই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ঐতিহাসিক দিন। গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। চারদিকে শুধু লুটপাট করা হচ্ছে।  

‘দেশ আজ ভয়াবহ সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এই সংকট থেকে উত্তরণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সকল গণতান্ত্রিক শক্তি আসবে। সাত দফায় জনগণ আজ ঐক্যবদ্ধ। এই দফাসমূহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। ’

আরও পড়ুন>>
**
বিএনপিকে নিয়ে কামালের ঐক্য ঘোষণা, বাদ বি চৌধুরী

ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নেতা মোস্তফা মহসিন, জেএসডি নেতা তানিয়া রব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন বলেন, জাতি আজ চরম লজ্জিত। বর্তমান ‘স্বৈরাচার সরকার’ কোনো দাবি মানছে না। তারা রক্তের খেলায় জড়াতে চায়। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হয়। এটা খুবই লজ্জার।  

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জেলা ও উপজেলায় জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়, প্রশাসন ও বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
টিএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ