রেফারি ও খেলার দল একই হলে হবে না মন্তব্য করে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন, ১০ বছর পর সিলেটে বক্তৃতা দিচ্ছি। ইলিয়াস আলী এক সময় সিলেট এমসি কলেজে পড়াকালে ছাত্রলীগ করতেন।
বুধবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে সিলেটের রেজিস্ট্রারি মাঠে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক, ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে বিচার হয়নি। অথচ আমাকে দেওয়া হয়েছে কারাদণ্ড! আমাদের দাবি মানেন, যদি না মানেন তবে কিভাবে ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে তা আমরা জানি।
তিনি আরো বলেন, সুন্দরভাবে বাঁচার অধিকারের জন্য আমরা লড়াইয়ে নেমেছি। একদিকে শেখ হাসিনা থাকবে অন্যদিকে সারা দেশ।
সমাবেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, উন্নয়নের জোয়ারে সরকার টালমাটাল। উন্নয়নের জোয়ারে সরকারের চোখে ছানি পড়ে গেছে!
গণফোরামের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘রাবিশ’ মন্ত্রী বাংলাদেশকে ফতুর করে দিয়েছেন! শেখ হাসিনা বিনাভোটে নির্বাচন করেছেন, জাতি আপনাকে ক্ষমা করবে না। বর্তমান সরকার ফিটনেসবিহীন; এই সরকারকে এখনই পদত্যাগ করতে হবে।
জেএসডির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন বলেন, রাজনৈতিক অধিকার চাই, নির্বাচনকালীন সরকার চাই। শেখ হাসিনার পাতা ফাঁদে আমরা পা দেব না। এই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হবে। এ থেকে শেখ হাসিনার মুক্তি নাই।
জেএসডির সহ-সভাপতি তানিয়া রব বলেন, আমাদের বাকস্বাধীনতা নেই, তাই এখানে জমায়েত হয়েছি। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। সকল রাজবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মহাসচিব আ হ ম মোস্তফা আমিন বলেন, অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে ভোটাধিকারের আকাঙ্ক্ষা সফল হবে। ড. কামাল অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাস করেন। আমাদের পক্ষে কোনো সহিংসতা করা যাবে না। যারা ভোটাধিকারের বিরোধিতা করছে তারা সহিংসতা করার চেষ্টা করবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যাত্রার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতন হবে বলে সমাবেশে মন্তব্য করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বরকত উল্লাহ বুলু।
বুধবার দুপুর ২টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশের শুরুতে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাইযুম জালালী পঙ্কী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি নাসের রহমান।
ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন।
এছাড়া ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য এবং চার দল থেকে কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখবেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহমদ আলী।
বুধবার দুপুর ১টার পর থেকে শত শত নেতাকর্মীদের মিছিল একে একে প্রবেশ করতে থাকে রেজিস্ট্রারি মাঠে। এ সময় সমাবেশের মঞ্চে স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দিতে শুরু করেন।
বেলা আড়াইটার দিকে মঞ্চে ওঠেন সমাবেশের সভাপতি ও সিলেটের মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী, প্রধান অতিথি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, সুলতান মো. মনসুর, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, তানিয়া রব, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
এমএইচ/এনইউ/এমজেএফ