ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অন্যান্য দল

কমরেড ফরহাদের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৯
কমরেড ফরহাদের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী

ঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদের ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার (৯ অক্টোবর)।

১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের রাজধানী মস্কোতে কমরেড ফরহাদ মৃত্যুবরণ করেন।

কমরেড ফরহাদ ১৯৩৮ সালের ৫ জুলাই পঞ্চগড়ের বোদায় জন্মগ্রহণ করেন।

মেধাবি ছাত্র মোহাম্মদ ফরহাদ ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। স্বাধীনতার পর সমরিক ও স্বৈরাচারবিরোধী লড়াইয়ে প্রথম সারির নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি বহুবার জেল, জুলুম, হুলিয়া, নির্যাতন ভোগ করেন। ৩৫ বছরের ঘটনাবহুল রাজনৈতিক জীবনে তিনি পাকিস্তান আমল এবং স্বাধীন বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান-হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমলে কারাবরণসহ দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর আত্মগোপন বা কারান্তরালে ছিলেন। ৫৪ সালে তাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের কুখ্যাত নিরাপত্তা আইনে বিনা বিচারে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখা হয়।

১৯৫৫ সালে ১৭ বছর বয়সে মোহাম্মদ ফরহাদ কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র থাকা অবস্থায় কমরেড ফরহাদ ৫৯ সাল থেকে গোপনে ছাত্রদের সংগঠিত করতে থাকেন। ১৯৬২ সাল থেকে প্রায় এক বছর হুলিয়া মাথায় নিয়ে গোপনে ছাত্র গণআন্দোলন সংগঠন ও শ্রমিকশ্রেণীর পার্টির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে কমরেড ফরহাদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধে কমিউনিস্ট পার্টি-ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ গেরিলা বাহিনীর প্রধান সংগঠক ছিলেন তিনি।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদের ক্ষমতা দখলের পর সামরিক শাসনবিরোধী রাজনৈতিক ঐক্য তথা ১৫ দলীয় ঐক্যজোট গঠন। জাতীয় দাবি ৫ দফা প্রণয়ন ও যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

কমরেড মোহাম্মদ ফরহাদের  মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

বুধবার সকাল ৮টায় বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে সিপিবিসহ বিভিন্ন দল-সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে। বিকেল ৫টায় সিপিবির পক্ষ থেকে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। পুরানা পল্টন কমরেড মণি সিংহ সড়কস্থ মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৯
এসকে/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য দল এর সর্বশেষ