সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মতিঝিলে নিজ চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। সভায় ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরসহ অর্ধশত ছাত্রনেতার ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নেতাদের ওপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামধারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, এবিএম সোহেল, হাসান আল মামুন, রাশেদ খান ফারুকসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ছাত্র গুরুতর আহত হয়। এ হামলায় কেউ কেউ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তাদেরকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পিতভাবে ডাকসু ভবনে আলো নিভিয়ে বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়। তুহিন ফারাবী লাইফ সাপোর্টে আছেন। আমরা দেশবাসীকে দ্ব্যর্থহীনভাবে জানাতে চাই, তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ যে জঘন্য ও বর্বর হামলা করেছে তা লক্ষ শহীদের প্রতি চরম অবমাননা।
নুরসহ ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চান কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন বলেন, সংবিধানেই বলা আছে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়ার কথা।
এ সময় জেএসডি সভাপতি আ. স. ম. আব্দুর রব বলেন, প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের নতুন দায়িত্ব দেয়ার পর আবরারকে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব আসার পর নুরুকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হলো। এটাই আওয়ামী লীগের চরিত্র।
দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে আ. স. ম. রব বলেন, আমরা আজকে জরুরি বৈঠকে বসেছি। সব নেতারা আসতে পারেনি। পরবর্তীকালে আমরা আবার বৈঠক করে সিদ্ধান্ত জানাবো।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টায় ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে সভাপত্বি করেন ড. কামাল। আ. স. ম. আব্দুর রব, বিএনপি'র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরাম নেতা অধ্যাপক আবু সায়িদ, অ্যাডভোকেট মোহসীন রশিদ, দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএইচ/এইচজে