বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তবে বৈঠকে জোটের শরিক জামায়াত যোগ দেবে কি-না, সে বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।
জোট নেতারা আশা করেছিলেন তাদের আরও আগে ডাকা হবে। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধরনের উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন।
ইতোমধ্যে জামায়াতের নেতারা বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, এখনও তারা সে সিদ্ধান্তেই আছেন। সেসময় তাদের সিদ্ধান্ত ছিল, এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না দলটি।
জানা গেছে, আসন্ন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত দুই মেয়র প্রার্থী এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের পক্ষে ভোট চাইতে মাঠে নামার জন্যই ২০ দলীয় জোটের এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, ২০ দলীয় জোটের গত বৈঠকে সবাই বিএনপির প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়েছেন। এবার বৃহস্পতিবারের বৈঠকে একটি কমিটি গঠন করে নির্বাচনী প্রচারণায় কে কোথায় দায়িত্ব পালন করবেন, সে বিষয় ঠিক করা হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জোটের শরিকদলগুলোর নেতাদের অনেকে মাঠে নেমেছেন। এছাড়া অন্যরাও বিএনপির প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইতে মাঠে নামবেন।
এদিকে, জোটের শরিক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এহসানুল হুদা বুধবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, আমরা একটি বৈঠক আরও আগে আশা করেছিলাম। যেহেতু বিএনপি ছাড়া জোটের আর কোনো দলের প্রার্থী নেই, সেহেতু আরও আগে বৈঠক ডেকে মাঠে নামলে ভালো হতো।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২০
এমএইচ/টিএ