তিনি বলেছেন, ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে। নেতারা মাঠে না নামলে কর্মীরাও মাঠে নামবেন না।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয় নির্বাচন-২০১৮ পোস্টমর্টেম’ গ্রন্থের প্রকাশনা, পাঠ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রব বলেন, দেশে উন্নয়ন হয়েছে। এখন মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়। দেশের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মানুষ মনে করে ভোট দিয়ে সরকার পরিবর্তন করা যাবে না। এই পদ্ধতির পরিবর্তন দরকার। এভাবে এই সরকার পরিবর্তন করা যাবে না।
তিনি বলেন, বাঙালি যে পরিমাণ ভোট দেয়, আগে পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এত ভোট পড়তো না। কিন্তু ২০১৪ সালের পরে এই ভোটের সংখ্যা কমে গেছে। মানুষ এখন হামলা-মামলার মধ্যে যেতে চায় না। শান্তিতে থাকতে চায়।
জেএসডি প্রধান বলেন, দেশের কোথাও মিছিল, মিটিং, হরতাল, অবরোধ কিছুই করা যাবে না। সব বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি ভোটাররা ভোট দিতেও যাবেন না। তাহলে সরকার পরিবর্তন হবে কী করে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আব্দুর রব বলেন, কর্মীরা আপনাদের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন। দলের নেতাদের আগে মাঠে নামতে হবে। জনগণকে আহবান করতে হবে। আপনারা না নামলে জনগণও এগিয়ে আসবে না। কর্মীদের দাবি নেতাদের আগে নামতে হবে মাঠে। এসময় তিনি বিএনপি নেতাদের আগে মাঠে নেমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই নির্বাচন কমিশন পরিবর্তন না হলে যেকোনো নির্বাচনে গেলে বিএনপির কোনো লাভ হবে না। এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে পাড়ার একটি ক্লাবের নির্বাচন করাও সম্ভব না। সিটি নির্বাচনের আগে ও পরে আমাদের কোনো অভিযোগই আমলে নেয়নি এই কমিশন।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে একটা লোকও খুঁজে পাবেন না, এই সরকারকে পছন্দ করে, সরকারের প্রশংসা করে। সরকার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। এই গণতন্ত্রহীনতার কারণে একদিন এই সরকাকে মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, জয় বাংলা স্লোগান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু যুবাদের বিশ্বকাপ জয়ের পর এয়ারপোর্ট থেকে স্টেডিয়াম আসা পর্যন্ত একবারও জয় বাংলা স্লোগান আমরা শুনতে পাইনি। এতেই বোঝা যায়, সরকারের কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
পিএস/টিএ