বুধবার (৮ এপ্রিল) গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথবিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, করোনায় চলমান লকডাউন পরিস্থিতির ফলে ইতোমধ্যেই দেশের কৃষিখাত কঠিন পরিস্থিতির ভেতরে পড়েছে।
‘একইভাবে দেশে প্রোটিনের সবচেয়ে বড় উৎস পোল্ট্রিখাতও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় কৃষিখাতকে সরকারি ক্রয় ও ভর্তুকি মারফত টিকে থাকতে সহায়তা না করলে পুরো দেশের মানুষের ওপরই তা মহামারির সময় ও পরবর্তীতে ভয়াবহ প্রভাব বিস্তার করবে। এমনকি তা দুর্ভিক্ষের দিকেও ঠেলে দিতে পারে। ফলে জাতীয় প্রয়োজনে এসময় কৃষিকে বাঁচাতে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, অবিলম্বে কৃষিখাতকে বাঁচাতে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয়, পোল্ট্রিসহ সামগ্রিকভাবে কৃষিখাতে ভর্তুকির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। ’
নেতারা বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ‘সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও ঘরে থাকা’ই যখন প্রধান কাজ, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, এখনও হাজারও গৃহহীন মানুষ রাস্তায়-স্টেশনে যত্রতত্র দিনাতিপাত করছে, যা তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হচ্ছে ও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির আশংকাও বাড়াচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, অবিলম্বে বন্ধ স্কুল-কলেজগুলোতে গৃহহীনদের দুইবেলা খাবারসহ অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করুন।
প্রবাসী শ্রমিকদের দুর্ভোগ লাঘবের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে গণসংহতির নেতারা বলেন, অনেক প্রবাসী শ্রমিক এখনও বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। তাদের অনেকেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের কাজ নেই, ফলে আয়ও বন্ধ। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে সক্রিয় করে আমাদের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলা এই প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। পাশাপাশি বাংলাদেশে থাকা তাদের পরিবারগুলোও এখন একই কারণে সংকটের মধ্যে নিপতিত। এই সংকটে রেমিটেন্স আনা প্রবাসী শ্রমিকদের ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
বাংলাদেশে সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০
আরকেআর/এইচজে