মঙ্গলবার (৫ মে) জাসদ সভাপতি ও সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, করোনার বিস্তার রোধে সরকার সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ নির্মূল আইন- ২০১৮ জারি করে সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে।
‘মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়, জুম্মার নামাজ-তারাবির জামাতসহ অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়েও জনসমাগম বন্ধ রেখেছে। মৃতের জানাজা-দাফন-দাহ-শেষকৃত্যে জনসমাগম বন্ধ রেখেছে। অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন করেছে। একই নগর-শহর-জেলা-উপজেলার এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলাচল-যাতায়ত বন্ধ রেখেছে। ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় প্রবেশ ও ঢাকা থেকে ঢাকার বাইরে যাওয়া বন্ধ রেখেছে। এসব নির্দেশ কার্যকর করতে প্রশাসন মাঠে কাজ করছে। পুলিসশ ছাড়াও সেনাবাহিনী রাস্তায় টহল দিচ্ছে। সরকারের এতো বাস্তব, যৌক্তিক ও কঠোর পদক্ষেপের পরও আইইডিসিআর আশঙ্কা করছে মে মাসে দেশে করোনা সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা ৫০ হাজার অতিক্রম করতে পারে। এরকম পরিস্থিতিতেও ঢালাওভাবে শপিং মল, দোকানপাট খুলে দিয়ে জনসমাগমের সুযোগ দেওয়া হবে আত্মঘাতী। ১০ মে থেকে ঢালাওভাবে শপিং মল, দোকানপাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রতি সনির্বন্ধ আহ্বান জানাই। ’
জাসদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, এবারের ঈদ আনন্দের ঈদ না, শপিংয়ের ঈদ না। এই সঙ্কটেও যাদের শপিংয়ের সামর্থ্য আছে, তাদের সেই অর্থ দিয়ে কর্মহীন, আয়হীন, অসহায় মানুষের পাশে সাহায্য নিয়ে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই। অসহায় মানুষরা ঈদের দিন দুই বেলা পেটভরে খেতে পারলে সেটাই হবে এবারের ঈদের সবচেয়ে বড় আনন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, মে ৫, ২০২০
আরকেআর/এইচজে