তারা বলেন, সরকার যদি পাটকল বন্ধের মতো গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে তাহলে জনগণের স্বার্থ রক্ষার্থে এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামানোই হবে একমাত্র সমাধান।
শনিবার (০৪ জুলাই) বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে সিপিবির নেতারা এসব কথা বলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতারা বলেন, সরকার লোকসানের কথা বলে পাটকলসমূহ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ পর্যন্ত পাটকলগুলোর লোকসানের পরিমাণ ১০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা।
এসময় বক্তারা পাটকল বন্ধ করে পাট চাষ ও পাট শিল্পকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা না করে, মাত্র ১২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আধুনিকায়ন করার মাধ্যমে দেশিয় পাট শিল্প টিকিয়ে রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে নেতারা রাষ্ট্রীয় পাটকলসমূহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করে তা প্রত্যাহরের দাবি জানান।
সিপিবি নেতারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের প্রধান শিল্প পাটকলসমূহ রাষ্ট্রায়ত্তকরণ করা ছিল ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট্রের ২১-দফা ও ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র সমাজের ১১-দফার অন্যতম অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন। গত ৪০ বছর ধরে ক্ষমতাসীন সরকারসমূহ এশিয়ার বৃহত্তম পাটকল আদমজীসহ সকল পাটকল বন্ধ বা বেসরকারিকরণ করে সে অঙ্গীকারকে পদদলিত করেছে। ২০০২ সালে বিএনপি-জামাত সরকারের শিল্পমন্ত্রী নিজামীর হাত দিয়ে দেশের বৃহত্তম আদমজী পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর আজ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবিদার বর্তমান আওয়ামী সরকার মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মন্ত্রীর হাত দিয়ে অবশিষ্ট ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ বিশ্বাসঘাতকতাপূর্ণ কাজের জন্য জাতি কখনো তাদের ক্ষমা করবে না।
সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আহসান হাবীব লাবলু, রুহিন হোসেন প্রিন্স, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাদেকুর রহমান শামীম।
সভা পরিচালনা করেন ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. সাজেদুল হক রুবেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২০
জিসিজি/এইচএডি