মানুষ জন্মের আগে
নীলকণ্ঠফুল কোত্থেকে যে আসে আর কালিবাড়ির ভাঙা মন্দিরের
শূন্য সিঁড়িতে অচৈতন্য পাগলিটার ঝুরো চুল বাতাসে ওড়ে।
এই এলাকায় মন্দির নেই
বোগেনভেলিয়া থাকলেও নীলকণ্ঠের পেলবসুদূর মহিমা যা এইমুহূর্তে
আমার বোজা চোখে উপচে ছড়িয়ে চলে এসেছে, আর
মানুষ জন্মের আগে
গল্প জন্মের আগে
জন্মে চলেছি আমিও
বন্ধ্যারাতে শ্মশানগুলোয় চিৎকার করে অনাহারী শেয়াল
ট্রেনের শিস বেজে সরে যায়
সেখানে কী এখনও দাওয়া
শীর্ণ হাতের মতো সন্ধ্যা
মনে পড়ে, পাইথন রাতে একা এক টিলার গায়ে গতজন্মের
শিকারের দাগ!
ট্রমা
কাগজে লেখা তোমার নাম সেদিনই আমি মুছে ফেলেছি শিশুর ইরেজার দিয়ে!
পূর্বাপরের এই ভ্রান্তি প্ল্যাকার্ডে টাঙিয়ে নিশ্চিন্ত হয়েছি যে, প্রত্যাখানের প্রস্তাবে
এখন আর দু'টুকরো হয় না চোখ।
লিখে দিয়েছি তোমার বুড়ো আঙুলে!
তিলফুল
বেজে ওঠে মেঘবিহীন আকাশ! বলক দেওয়া দুধ আর সেই তার অসাধারণ পা
আলতার রঙে প্রকাশ হচ্ছে আরেকটি শীতকাল। তার আগে, আলপথে, সে
ইঁদুরের গর্ত দেখতে দেখতে, পিছনে তাকিয়ে, মেটেমতো খেজুর গাছ, কাসুন্দী
ঘ্রাণের সেই কান্না নরম পাখি, কিশোরী প্রার্থনায় উড়ে এসে বসে প্রথম ঋতু
ভাঙা গল্প! কেন যে তার দীর্ঘশ্বাস এক অনধিকারীর কাছে। খেতের ভিতর নেমে
হাত ছুঁলো, এর নাম তিল ফুল! মিহি শীত নামে দাঁতের সারিতে!
বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৬
এসএস