যা তুমি সরাতে চাইছো
সরাতে চেয়েছিলে পাথর। সরাতে চেয়েছিলে নদী।
দেখো, সরে যাচ্ছে মধ্যরাতের দেয়াল। যে ছায়া কাছে আসছে- তা
বড় লীলাময়। বড় আজব তার মনশৈলী- বড় বিনয়ী তার চোখ,
যা কিনা পাথরের চেয়েও কঠিন হয়ে জমে আছে জমিনে। নদী
হয়ে আমাকে আগলে রেখেছে একটি পূর্ণ জনম।
আসলে জনম নিয়ে কারও কোনো বড়াই থাকে না কখনও। বরং
বেঁচে থাকার কসরত সবাইকেই একদিন সমুদ্রমুখী করে- যারা ঢেউ
ভালোবাসে, তারা অনুসরণ করে বৃষ্টির গমনদৃশ্য.........
যারা ফিরবে বলেছিলো
সীমান্ত নিয়েই আমার শংকা ছিলো সবসময়। পৃথক শিলাচিহ্ন
দেখে যারা নির্দিষ্ট করেছিলো তাদের গন্তব্য, আমি তাদের
হারাতে চাইনি। চাইনি— ওরা দেশান্তরি হোক। আমাকে ত্যাগ
করে চলে যাক অন্য সীমানায়।
তবু ওরা চলে যায়। রেখে যায় কয়েকটি দলিত অক্ষর।
বড় মায়াময় বেদনায় তারা পোহায় সীমান্তের রাত। যে মাটি
তাদের পাঁজরে লেগেছিলো— সেই মাটি প্রদীপ জ্বালিয়ে একাকী কাঁদে।
প্রদীপান্তরের ছায়াগুলো
বসে আছি, সন্ন্যাস-সাম্রাজ্যে। কেউ এই পাতে অন্ন দেবে কী না—
তা না ভেবেই রাতকে বলছি, আমাকে ঢেকে দাও। এসো,
যজ্ঞ করি প্রদীপের। রেখে যাই ছায়াগুলো যে প্রদীপান্তরে-
তা একদিন প্রেম হয়েই রেণু ছড়াবে তোমাদের জন্য। যারা একদিন
সকল নবান্নকেই ঘোষণা করেছিলে নিষিদ্ধ গন্দম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
এসএনএস