ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

১০ ডিসেম্বর সামনে রেখে কাল থেকেই পাহারায় থাকুন: কাদের 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
১০ ডিসেম্বর সামনে রেখে কাল থেকেই পাহারায় থাকুন: কাদের 

ঢাকা: আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি যেন দেশে কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সতর্ক পাহারায় থাকতে বলেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কাল থেকেই পাড়া, মহল্লা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, জেলা ও উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা থাকবেন। মানুষকে বাঁচাতে হবে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে হবে। এদের বিশ্বাস নেই। এরা সাম্প্রদায়িকতার ঠিকানা। এরা বাংলাদেশ নালিশ পার্টি (বিএনপি)।   

তিনি বলেন, বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ, হয় সমাবেশ। আওয়ামী লীগ ডাকে সমাবেশ, হয় মহাসমাবেশ। ১০ ডিসেম্বর তারা সমাবেশ করবে। গত ১৩ বছরে তারা ১৩ দিনও রাস্তায় দাঁড়াতে পারেনি।  

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব, জানি আপনার অন্তরে কেন এত জ্বালা। জালারে জ্বালা, বুকে বড় জ্বালা, অন্তরে বড় জালা। পদ্মা সেতু নাকি জোড়াতালি দিয়ে করেছে। সেখান দিয়ে হাজার হাজার গাড়ি চলছে। মেট্রোরেল উদ্বোধন হবে। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল। শেখ হাসিনা একদিনে ১০০ সেতু উদ্বোধন করেছেন।

তিনি বলেন, খেলা হবে, হবে খেলা। ডিসেম্বরে খেলা হবে। নির্বাচনে হবে, আন্দোলনে খেলা হবে। আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। লাঠির বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে খেলা হবে।

৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কথা স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, জবাব দিতে হবে। খুনিদের কারা পুরস্কৃত করল, বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিল? বিদেশে চাকরি দিল কে? জিয়াউর রহমান। এই খুনিদের বিচার হবে না, এই মর্মে কে ইনডেমনিটি জারি করল? সেনাপতি জিয়াউর রহমান। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা কে করল? তারেক রহমান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের কথা ভেবে শেখ হাসিনার ঘুম হয় না। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম আপনি কখন ঘুমান। তিনি বলেছিলেন, আমি তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমাই। আমি কথা বলছিলাম সন্ধ্যার পর। প্রায়ই জিজ্ঞেস করি, আপনি খাওয়া-দাওয়া করেননি? তিনি তখনও খাননি। তিনি বলেছেন, তোমার সঙ্গে কথা বলতে বলতে খেয়ে নেব। এই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারো ঘুরে দাঁড়াবে শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে। দেশের রপ্তানি আবারো বাড়ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্বে।  

আগামী দিনে ছাত্রলীগের সুনাম ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার খুব খারাপ লাগে, ছাত্রলীগের কর্মীরা যখন মেসেজ দিয়ে, ফোন করে বড় গলায় বলে আমিও অমুক ভাইকে মেইনটেইন করি। ভাইকে মেইনটেইন করতে হবে কেন? কীসের মেইনটেইন। মেনটেইন করবে বঙ্গবন্ধু আদর্শ, শেখ হাসিনার আদর্শ ও সাহসিকতা। ডিসিপ্লিন মেইনটেইন করবে। আর মেইনটেইন যেন শুনতে না হয়।  

ছাত্রলীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২  
এনবি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।