ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশি হামলায় গণসংহতির নিন্দা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২২
বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশি হামলায় গণসংহতির নিন্দা

ঢাকা: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নির্বিচারে জনমানুষকে গ্রেফতার এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকি এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে গণসংহতি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এ নিন্দা জানান।

অতিসত্বর নীপিড়ন ও আক্রমণ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে, এরই মধ্যে পুলিশ গুলি করে একজনকে হত্যা করেছে। অন্তত আরও দুজনের মৃত্যু এবং রুহুল কবীর রিজভী, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের খবর বিভিন্নভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে মানুষ হত্যার নির্মমতাকে সরকার নিয়মিত বিষয়ে পরিণত করতে চায়। সরকার তাদের অবৈধ ও দানবীয় ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতেই এসব করছে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকার বিএনপির আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা ফখরুলসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে তাদের অফিসে ঢুকতে দিচ্ছে না, তাঁকে ঘেরাও করে রেখেছে। আমরা সরকারের এমন অরাজনৈতিক ও বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করছি। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত এ বাংলাদেশে বিরোধী দলের ওপর এরকম ফ্যাসিবাদী দমন-পীড়ন বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না।

তারা বলেন, এই সরকার কোনোকিছুর তোয়াক্কা করছে না। এ সরকার একদিকে সাধারণ রাজনৈতিক শিষ্টাচারকে ধ্বংস করেছে অন্যদিকে বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত সভা-সমাবেশ করার যে সাংবিধানিক অধিকার তাকেও নস্যাৎ করে দিয়েছে। এরা ধারাবাহিকভাবে মিছিল এবং সমবেত জনতার ওপর গুলি করছে । এরা দেশের রাজনৈতিক সহিষ্ণুতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে।

সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা বলেন, এ মুহূর্তে পরিস্থিতিকে শান্ত করতে সরকারকেই ভূমিকা রাখতে হবে। অবিলম্বে সমবেত মানুষের ওপর আক্রমণ ও পুলিশি হামলা বন্ধ করুন। আর নিরাপদে-নির্বিঘ্নে মিছিল সমাবেশ করার অধিকার কার্যকর ও বাস্তবায়নের পরিবেশ তৈরির দায়িত্ব সরকারেরই। কাজেই আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি, বিএনপির আশু সমাবেশসহ যেকোনো সমাবেশ অনুষ্ঠান করতে দিতে হবে। অন্যথায় জনগণের বিশাল আন্দোলন ও অভ্যুত্থান সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২২
পিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।