ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, জিয়াই প্রমাণ: জমির উদ্দিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, জিয়াই প্রমাণ: জমির উদ্দিন

ঢাকা: গোলাপবাগের মাঠে আয়োজিত ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির নেতারা। শীর্ষ নেতারা এখন বক্তব্য দিচ্ছেন।

একে একে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের পর বক্তব্য দেন কমিটির অপর সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। সমাবেশে বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, জিয়াউর রহমান তার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেটি প্রমাণ করে গেছেন। তিনি মনে করতেন সবার আগে দেশ বড়। দেশ বাঁচলে আমি বাঁচবো। এই কারণে দেশ চলতে হবে জনগণের কল্যাণে।

বিএনপির ক্ষমতায় থাকলে দেশে গুম-খুন, হত্যা থাকবে না বলেও সমাবেশে তিনি মন্তব্য করেন।

এর আগে বক্তৃতা দিতে গিয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান সমাবেশ সফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। আর সরকার হরতাল করছে বলে মন্তব্য করেছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিএনপির সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের কিছু আগে সমাবেশ শুরু করে দলটি। একে একে বক্তব্য দেন বিএনপির বিভাগীয়, অঙ্গসংগঠন ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-নেত্রীরা।

সমাবেশে আমির খসরু বলেন, মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমাবেশ করতে এসেছে। তারা জীবন দিয়ে দেশ রক্ষা করবে। বিএনপি সমাবেশ করেছে আর সরকার হরতাল পালন করছে। আজকের সমাবেশ থেকে একটাই শপথ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, সরকার কথায় কথায় সংবিধানের দোহাই দেয়। খালেদা জিয়া-তারেক রহমানকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেয়া হচ্ছে, এটা কোন সংবিধানে আছে? আজকে বাংলাদেশের মানুষ পরিষ্কারভাবে রায় দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।

স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য সেলিমা রহমান তার বক্তব্যে বিএনপি সমাবেশ করতে সফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, কোনো ভয়ভীতি দেখিয়ে সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। জনগণ সর্বাত্মকভাবে সফল করেছে। আমাদের ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে (আওয়ামী লীগ) যাক না কেন জনগণ তা প্রতিহত করবে।

বিএনপির ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ইশরাক হোসেন সমাবেশে বলেন, বাংলাদেশের ক্ষমতাকে অবৈধভাবে দখল করে ক্ষমতার মসনদে টিকে থাকতে চায় সরকার। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না। আজকে থেকে আন্দোলন শুরু হলো। ইনশাআল্লাহ আরও বড় বড় সমাবেশ করে অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাবো।

এ সময় বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী পুলিশের পোশাক পরার বৈধতা রাখে না। তারা মানুষকে হত্যার খেলার মেতে উঠেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে বিএনপির জনসভার স্থান গোলাপবাগ মাঠ হলেও তা কমলাপুর স্টেডিয়াম (টিটিপাড়া) পর্যন্ত পৌঁছেছে। সকাল ৮টা থেকে যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সেখানে সড়কের দুই পাশে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীদের জনস্রোত জনসভার দিকে ছুটে যেতে দেখা যায়। তাদের হাতে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, জিয়াউর রহমান ও ধানের শীষের ছবি রয়েছে।

কমলাপুর পার হয়ে মুগদার কাছে অর্ধশতাধিক পুলিশের অবস্থান সকাল ৮টা থেকেই ছিল। ৯টার দিকে আরও প্রায় অর্ধশতাধিক দাঙ্গা পুলিশ মুগদার দিক থেকে একত্রিত হয়ে সতর্ক অবস্থান নেয়। সকাল ১০টার দিকে পুলিশের বহর সরে ইত্তেফাক মোড়র দিকে চলে যায়। এরপর একটি রায়ট কারও ইত্তেফাক মোড়ের দিকে সরিয়ে নেয় পুলিশ। সোয়া ১০টার দিকে ঢাকার সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদকে হোসেন খোকার ছেলে প্রকৌশলী ইশরাকের নেতৃত্বে কয়েক হাজার নেতাকর্মী একটি মিছিল নিয়ে গোপীবাগের দিক থেকে মুগদার দিকে ঢুকলে ইত্তেফাক পূর্ব মোড় পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
টিএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।