ঢাকা: বাংলাদেশিদের বিদেশে বাড়ি ও সম্পত্তি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশ হয়েছে তা সত্য কী না জানতে চেয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। এ বিষয়গুলো তদন্তের দাবি করে তিনি এ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে দেওয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভপতিত্ব করেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ইদানিং লক্ষ্য করছি টাকা পাচার, বিদেশে ফ্ল্যাট কেনার সংবাদ পত্র-পত্রিকাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে, নিউজ আসছে। আজকে দেখলাম আমাদের পররাষ্ট্র সচিব বলছেন, আমাদের বাংলাদেশের মানুষ যারা আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে থাকে, তারা এ দেশের সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। সেটা বৈধ পথে নিচ্ছেন না। পররাষ্ট্র সচিব এ বিষয়টি স্বরাষ্ট্র এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বলে দেখলাম।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষ মধ্যপ্রাচ্যে কঠোর পরিশ্রম করে কাজ করে দেশে টাকা পাঠায়। যারা ইউরোপ-আমেরিকায় থাকে..তারা তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে বৈধ পথে টাকা নিলে আমাদের আপত্তি নাই। কিন্তু এই দেশ থেকে অবৈধ পথে ডলার, বৈদেশিক মুদ্রা নিচ্ছে। সেটা কেন? কীভাবে নিচ্ছে? তা দেখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অবশ্যই দেখা দরকার।
মুজিবুল হক চুন্নু বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, কী একটা পরিস্থিতি হলে পরাষ্ট্র সচিব দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। কারণ তিনি এ কারণে বলেছেন, ওই সমস্ত দেশ থেকে এত পাওয়ার অব অ্যান্টর্নি এটাচ করার জন্য আসছে যে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করছে, এটা বিশাল ঘটনা। আবার দেখলাম ওয়াসার একজন চেয়ারম্যানের আমেরিকায় ১৪টা বাড়ি। আমাদের সংসদের দুই একজন সদস্য সম্পর্কে এ রকম প্রশ্ন আসছে এবং আরও কিছু ইঙ্গিত আসছে। আমি সরকারের কাছে- অর্থমন্ত্রী এখানে নেই, তার কাছে অনুরোধ করবো এসব নিউজের সত্যতা আছে কিনা দেখতে। কারণ আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন কানাডায় বেগমপাড়ায় যারা যারা বাড়ি করছেন তাদের মধ্যে অনেক আমলা আছে। এ জিনিসগুলোর তদন্ত হওয়া উচিত। এসব ঘটনা সরকারের ইমেজ ক্ষুণ্ন করে। আগামীর যে নির্বাচন, সেখানে এই সমস্ত বিষয় নিয়ে যে সংবাদ আসে এতে সরকারের ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়। আমরা বিরোধী দলে আছি, আমাদেরও ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়। দেশের মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে। এমপি, মন্ত্রী হলেই শত শত কোটি টাকা আয় করে। বিদেশে বাড়ি-ঘর করে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর মুখ খোলা উচিত। তিনি, তার বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ এগুলো কীভাবে কি হচ্ছে এর তদন্ত করে স্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
এসকে/এসএ