ঢাকা: জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে কিছু দুতাবাসের কর্মকর্তা আর তথাকথিত কয়েকটি মোড়ল দেশের প্রতিনিধিরা আমাদের দেশে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছেন। তারা গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার শেখানোর বুলি ছুড়ছেন।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের অলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
বাবলা বলেন, কোনো দেশের পরামর্শ বা আদেশ মেনে বাংলাদেশের নির্বাচন পরিচালিত হতে পারে না। আমরা চাই, সাংবিধানিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। আর সে নির্বাচনে সব দল অংশ নিক। জনগণ যে দলকে ভোট দেবে, সেই দল রাষ্ট্রক্ষমতায় যাবে। এখানে বিদেশিদের নাক গলানোর কিছু নেই।
তিনি বলেন, আবারো বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্যেও আরেক দফা দাম বাড়াবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে সরকারের উচিত ছিল বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি, সিস্টেম লস, অনিয়ম বন্ধ করা। কিন্তু তা না করে বরাবরের মতো সরকার আবারো উল্টো পথে হাঁটল।
বাবলা বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিতে পারে। বিদ্যুতের দাম বাড়ায় জনগণের কষ্ট আরও বেড়ে গেল। এমনিতেই নানা অজুহাতে পণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে উৎপাদন খরচসহ সর্বত্র এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও এখনো জাতি হিসেবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এক হতে পারি না। সরকারি দল বলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর কতিপয় বিরোধী পক্ষ চিৎকার করে বলে, দেশে গণতন্ত্রের বদলে স্বৈরতন্ত্র চলছে। সরকারি দল বলে, দেশের উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে চলেছে, আর কতিপয় বিরোধী পক্ষ বলে, উন্নয়নের নামে দেশে হরিলুট চলছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি দলের চোখে দেশে কোনো সংকটই নেই, আর রাজপথের কয়েকটি বিরোধী দলের চোখে পুরো দেশ সংকটে। যারা সরকারে থাকে, তাদের চোখে বিরোধী দলের সব কর্মসূচি হয় ধ্বংসাত্মক। আর বিরোধী দলের চোখে সরকারি দলের সব কর্মকাণ্ড হয় জনস্বার্থবিরোধী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এসকে/আরএইচ