ঢাকা: বর্তমান সরকার আগামী শীত পর্যন্ত টিকবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, সরকার পুরো বছর টিকে কিনা কে জানে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার ১৪ দফার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করে সাতটি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যে সরকারের টাকা নেই, সেই সরকার আবার কিসের সরকার। এ সরকার এখন ভিক্ষা করার জন্য একবার আইএমএফের কাছে যায়, একবার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কাছে যায়, একবার এডিবির কাছে যায়। অন্যের কাছে ভিক্ষা করা ছাড়া এ সরকারের এখন বাঁচার কোনো উপায় নেই।
বর্তমান সরকারের আমলে কমপক্ষে এক হাজার মানুষ গুম-খুন হয়েছে উল্লেখ করে মান্না বলেন, সবাই যখন এ কথা বলেছে, তখন তারা (সরকার) বলেছে, কিসের গুম? ওরা ভূ-মধ্য সাগরে ডুবে গেছে, প্রেম করে পালিয়ে গেছে, পাওনাদারের টাকা দেওয়ার ভয়ে লুকিয়ে আছে। এবার যখন দক্ষিণ এশীয় বিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু দেশে এসেছেন, তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের র্যাবও তো কিছু বাড়াবাড়ি করেছে।
ঠেলায় পড়লে বাঘেও ধান খায় উল্লেখ করে মান্না বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাঘে ধান খাওয়ার মতো স্বীকার করেছেন, র্যাব মানুষ মেরেছে। তিনি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছি, অবস্থা ঠিকঠাক হয়ে গেছে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বিবৃতি দিয়েছে, এমন কোনো কথা তাদের সঙ্গে হয়নি।
বর্তমান সরকারের মন্ত্রীদের চোর আখ্যায়িত করে মান্না বলেন, তারা পরপর দুইবার ভোট চুরি করেছে। আবার ভোট চুরি করতে বিভিন্ন ফন্দি ফিকির বের করেছিল। এখন সব রাষ্ট্র বলছে, এসব চলবে না। ভোট ঠিকভাবে করতে হবে। তা না হলে ব্যবস্থা আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছেন ততদিন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা ভোটে যাবে না জানিয়ে মান্না বলেন, বিএনপি বলেছে, শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় আছে, ততদিন কোনো ভোট হবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, তাদের দল দুর্বল নয়, ধাক্কা দিলে পড়ে যাবে না। আমি তো দেখছি, সরকারের অবস্থা এতো খারাপ, কাতুকুতু দিলে পড়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে, শেখ মুজিবুর রহমান এ দলের নেতা ছিলেন। তাই আওয়ামী লীগকে মানুষ সম্মান করতো। কিন্তু এখন যারা আওয়ামী লীগ করছেন, এখন যে নেতৃত্ব, এ দলকে মানুষ ঘৃণা করে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
এসসি/আরআইএস