ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

লুটপাটের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে: আমির খসরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩
লুটপাটের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে: আমির খসরু আমির খসরু

ঢাকা: আওয়ামী সিন্ডিকেটের লুটপাট ও বিদেশে টাকা পাচারের কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আমির খসর মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, তারা চরম দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের কোষাগার শূন্যের কোটায় নিয়ে গেছে। ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে চালাচ্ছে।

৫০ হাজার কোটি টাকার নোট ছাপিয়েছে। তারা দেশ কিভাবে চালাচ্ছে এটা মানুষের জানার দরকার।  মেঘা প্রজেক্টের মাধ্যমে, উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের টাকা শুধু লুটপাট করে বাংলাদেশের তহবিল খালি করে নাই, এই টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে নিজ অফিসে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।

আমির খসরু বলেন, একদিকে মেঘা প্রজেক্টের নামে লুটপাট করে টাকা বিদেশে পাচার করেছে। অন্যদিকে লুটপাট করে ব্যাংকগুলো খালি করে দিয়েছে। টাকার অভাবে এল সি খুলতে পারছে না, ডলারের অভাবে এল সি খুলতে পারছে না। পুরো বিষয়টি হচ্ছে একটি অবৈধ দখলদার সরকার ক্ষমতায় রয়েছে যাদের জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিটি জায়গায় লুটপাটের কারণে মূল্য বেড়ে যাচ্ছে।

বিএনপির ওই নেতা বলেন, অবৈধ দখলদার সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ক্ষমতা দখল করে অব্যাহতভাবে থাকতে চাচ্ছে। তারা চাচ্ছে এখানে একটি সহিংসতা, তারা নিজেরা সহিংসতা করছে এবং সহিংসতা বাড়ানোর একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে চলছে।

তিনি বলেন, সরকার আগুন সন্ত্রাসের কথা বলে অথচ তারা বিরোধী দলে থাকতে আগুন সন্ত্রাস করেছে, সরকারি দলে থাকতে আগুন সন্ত্রাস করেছে, আবার এখন আগুন সন্ত্রাসের কথা বলছে। আসলে এরা সহিংসতা চাচ্ছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার যে একটি প্রক্রিয়া, ভোট চুরি করার প্রক্রিয়া রয়েছে এটাকে তারা অব্যাহত রাখতে চাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সহিংসতা চাচ্ছে না তারা চাচ্ছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর, তারা জনগণের নির্বাচিত সরকার গঠন করতে চাচ্ছে। সুতরাং আন্দোলন সেদিকে চলছে এটাই আন্দোলনের ধারা, আমাদের এর বাইরে যাওয়ার কোনো প্রশ্ন ওঠে না।

সাবেক ওই মন্ত্রী বলেন, জনশক্তির ওপর কোনো শক্তি থাকতে পারে না। জনশক্তির বিরুদ্ধে কোনো অপশক্তি থাকতে পারে না। এটা বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার যুদ্ধে প্রমাণ করেছে, বাংলাদেশের মানুষ ভাষার জন্য প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে প্রমাণ করেছে এবং এবারও প্রমাণ করছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মানুষের যে অবস্থান সেটা তারা জানিয়ে দিয়েছে। কর্মসূচিতে তাদের উপস্থিতির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে এবং বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তারা এই কাজটি করছে।

আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রথম ধাপের আন্দোলনের সব বাধা-বিপত্তি মামলা, হামলা, সরকারের গণপরিবহন বন্ধের পরেও সফল হয়েছি। তারা (সরকার) রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। যত বেশি রাজনৈতিকভাবে তারা পরাজিত হচ্ছে তত বেশি তারা শক্তির কথা বলছে, তত বেশি তারা সহিংসতার কথা বলছে। তারা আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে, তারা আগুন সন্ত্রাসের কথা বলছে। সুতরাং এতেই প্রমাণ করে জনগণের সমর্থন এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কাছে কোনো কিছুই দাঁড়াতে পারে না।

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের বিশ্বাস করছে না, বাংলাদেশের মানুষ তাদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদেরকে বিদায় দেওয়ার জন্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই অবৈধ দখলদার সরকারকে বিদায় করবে। জনগণকে তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে তারা একটি নির্বাচিত সংসদ গঠন করতে চায়। এই মডেলের বিপরীতে অন্য কোন মডেলের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মানুষের কাছে এবং বিদেশি গণতান্ত্রিক দেশের কাছে একটি মাত্র মডেল সেটি হচ্ছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকার গঠিত হবে। যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে এর বিপরীতে অন্য কোনো সুযোগ নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, রাষ্ট্রপতি কে হলো এ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। বাংলাদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে তার নিজের ভোট দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায়। যে সরকারের জবাবদিহিতা থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২৩
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।