ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ পৌষ ১৪৩১, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

দেশে ৭ কোটি মানুষ ক্ষুধায় ধুঁকছে: আ স ম রব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
দেশে ৭ কোটি মানুষ ক্ষুধায় ধুঁকছে: আ স ম রব

ঢাকা: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, বাংলাদেশে কমপক্ষে সাত কোটি মানুষ প্রতিনিয়ত ক্ষুধায় ধুঁকছে। তারা তিন বেলা ন্যূনতম খাবার জোগাড় করতে পারছে না।

এ বিরাট জনগোষ্ঠী সরকারের তথাকথিত উন্নয়নের মহাসড়কের বাইরে অবস্থান করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন ক্ষুধাপীড়িত দেশ।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দাবি দিবস উপলক্ষে পুরানা পল্টন মোড়ে জেএসডি আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আ স ম রব বলেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা দারিদ্রসীমার নীচে এবং বিপর্যস্ত জনগোষ্ঠীর শিক্ষা, মৌলিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার অভাবসহ নানামুখী বঞ্চনা নিয়ে চিন্তাভাবনার প্রতিফলন বা সার্বিক কোনো কর্মসূচি রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে নেই। কয়েক কোটি মানুষের নিরবিচ্ছিন্ন ক্ষুধাসহ দীর্ঘস্থায়ী অপুষ্টিতে কোনো মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বঞ্চিতদের সমস্যা দূর করতে সম্পদের বন্টনে সরকার উদাসীন ও অক্ষম। লুটপাট ও অর্থ পাচার অব্যাহত রাখতে এবং ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে সরকার বিরোধী দলের সমাবেশে হামলা করে আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চাচ্ছে। এ অবস্থা উত্তরণে গণমুখী রাষ্ট্র নির্মাণ অনিবার্য হয়ে পড়েছে।

আ স ম রব আরও বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের অপসারণ ও বর্তমান সংসদ বাতিল করে জাতীয় সরকার গঠনপূর্বক ঔপনিবেশিক ব্যবস্থার অবসান, প্রদেশসহ স্বশাসিত স্থানীয় সরকার ও সংসদের উচ্চ কক্ষ গঠন, সংবিধান সংশোধন, রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কারের মাধ্যমে ‘অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র’ কায়েমের লক্ষ্যে সারাদেশে দুর্বার গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থা জনগণের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষায় একেবারেই অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও রাষ্ট্রসংস্কারের লক্ষ্যে চলমান রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবী জনগণের আন্দোলনকে সংযুক্ত করতে হবে এবং তখনই গণঅভ্যুত্থানের সম্ভব হবে।

সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক, মোশারফ হোসেন, এস এম শামসুল আলম নিক্সন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইনুর রহমান, কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু, আব্দুল মান্নান মুন্সী, ফারজানা দিবা, তৌফিকুজ্জামান পীরাচা প্রমুখ নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
এমএইচ/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।