ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

এই সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না: মন্টু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
এই সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না: মন্টু

ঢাকা: গণফোরাম একাংশের সভাপতি মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেছেন, দেশে নীরব দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে। এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেটসহ সারা দেশের ব্যবসায়ীরা বলছেন—কোনো ব্যবসা নেই, সারা দিন বসে থেকে যে বিদ্যুৎ খরচ হয়, তার পয়সাই উপার্জন করা যায় না।

তবুও এই মহা দুর্নীতিবাজ বর্তমান অবৈধ সরকারের কর্ণকুহরে জনগণের আহাজারি পৌঁছায় না, কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়।

বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, আটা, লবণ ও চিনিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের দাবিতে শনিবার (১১ মার্চ) বেলা ১১টায় ঢাকার আরামবাগে গণফোরাম চত্বরে মানববন্ধন করে গণফোরাম-বাংলাদেশ পিপলস পার্টি।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণফোরাম সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকারের মতো বাংলাদেশের ইতিহাসে এত লুটপাট কখনো হয়নি। সমগ্র জাতি এই সরকারকে নিয়ে এক মহাসংকটে আছে। সরকার অনির্বাচিত-অবৈধ। এই সরকারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প্রয়োগের কোনো নৈতিক এখতিয়ার নেই, তারপরও সে লুটপাট করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। এমন কোনো ব্যাংক নেই যেখানে ঋণখেলাপি নেই। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুটপাট করেছে, সাধারণ মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখতে ভয় পায়। সমস্ত রিজার্ভ লুটপাট করে ধ্বংস করে ফেলেছে।

তিনি বলেন, বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতের লুটপাট উদাহরণ স্বরূপ বিশ্ব কুখ্যাত লুটেরা আদানির সাথে বিদ্যুতের নামে অসম চুক্তির মাধ্যমে জনগণের টাকা তছরুপ করছে। অবিলম্বে আদানির সাথে সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী বলেন, এদেশের মানুষ দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন চায় না। জনগণ আজ রাস্তায় নেমে এসেছে, কারণ দ্রব্যমূল্যের এতো ঊর্ধ্বগতি ঘরে বসে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে। আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন নইলে জনগণ দুর্নীতিবাজ সরকারের পতন ঘটাতে বাধ্য হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, জনগণের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে যায় তখন জনগণ বাধ্য হয়ে রাজপথকেই বেছে নেয়। আমাদের ইতিহাস বলে জনগণ যখন রাজপথ বেছে নেয় তখন কোনো কর্তৃত্বাবাদী সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে। জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে এই দুর্নীতিবাজ সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, সভাপতি পরিষদ সদস্য আবদুল হাসিব চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদক নিলুফার আহমেদ শাপলা, ছাত্র সম্পাদক মো. সানজিদ রহমান শুভ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিবুর রহমান বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এম এ কাদের মার্শাল, সাধারণ সম্পাদক এরশাদ জাহান সুমন সহ কেন্দ্রীয় ও মাহনগরের নেতারা।

এছাড়া বাংলাদেশ পিপলস পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার নাজমা আক্তার, আতিকুর রহমান লিটন, রানী শেখ, হারুন-অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম সর্দারসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
এমকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।