ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগ শান্তি সমাবেশের নামে বিএনপিকে গালাগালি করে: আলাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
আ.লীগ শান্তি সমাবেশের নামে বিএনপিকে গালাগালি করে: আলাল

সিলেট: জনগণের মুখপাত্র হিসেবে বিএনপি মানুষের অধিকার আদায়ের দায়িত্ব পালন করছে। বিএনপি জনগণের মনের কথা বলে।

আর আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের নামে বিএনপিকে গালাগালি করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।   

তিনি বলেন, তাদের শান্তি সমাবেশ দেখলে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের দোসর শান্তি কমিটির কথা মনে পড়ে যায়। ৭১ সালে শান্তি কমিটি শান্তির নামে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করতো। ৭১ সালের শান্তি কমিটি আর এখনকার শান্তি সমাবেশ একই সূত্রে গাঁথা। আওয়ামী লীগ আর কিছুদিন ক্ষমতায় থাকলে দেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা রেলগেট সংলগ্ন মারকাজ পয়েন্টে জেলা বিএনপি আয়োজিত মনববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলাল এসব কথা বলেন।  

বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, চাল-ডাল-তেল-কৃষি উপকরণ-শিক্ষা উপকরণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।  

এছাড়া আগামী শনিবার (১৮ মার্চ) ১০ দফা দাবিতে সব মহানগরে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে আলাল বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ অতিষ্ঠ। সাধারণ মানুষ এখন মুরগি কিনতে পারে না, মুরগির পা, হাড়গোড় কিনে নিয়ে যায়। মানুষ খেতে পারছে না, আর তারা জয় বাংলা কনসার্ট করে। কারণ জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। দেশের সাধারণ মানুষ দ্রব্যমূল্য সহনীয় করতে, নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে, আওয়ামী লীগের ভোট চুরি, রিজার্ভ চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে, আন্দোলন করছে।  

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জিয়া পরিবারের প্রতি বিষেদাগার করতে ব্যস্ত। শেখ হাসিনা কটূক্তি করেন জিয়া, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে। তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত। আওয়ামী লীগের সময় শেষ হয়ে গেছে। তাদের পতন সুনিশ্চিত।  

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি জননেতা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা।  

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতা দখলে নিয়েছে। দ্রব্যমূল্যে মানুষ অতিষ্ঠ। ১০ দফা শুধু বিএনপির দাবি নয়, এটি এখন সর্বস্তরের জনতার দাবি। অতীত ইতিহাস বলে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাই আওয়ামী লীগের অধীনে এদেশে কোনোদিনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। অভিলম্বে এ অবৈধ সংসদ বিলুপ্ত করে একটি নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্ত করে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে ইনশাআল্লাহ।  

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষ একদিকে বিদ্যুৎ পাচ্ছে না অন্যদিকে বার বার বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে। চাল-ডাল-তেল-কৃষি উপকরণ-শিক্ষা উপকরণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশেহারা। দেশকে এ সংকট থেকে মুক্ত করতে ফ্যাসিবাদী সরকারে বিতাড়িত করে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।  

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন- সিলেট জেলা বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন আহমদ, ফখরুল ইসলাম ফারুক, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, ইকবাল বাহার চৌধুরী, মামুনুর রশিদ মামুন, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, শামীম আহমদ, ইকবাল আহমদ চেয়ারম্যান, একেএম তারেক কালাম, তাজরুল ইসলাম তাজুল, আনোয়ার হোসেন মানিক, আবুল কাশেম, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি।  

উপস্থিত ছিলেন- এসটিএম ফখর উদ্দিন, গোলাম রব্বানী, কোহিনূর আহমদ, লিলু মিয়া চেয়ারম্যান, আজিজুর রহমান আজিজ, আব্দুল্লাহ মিসবাহ, ইসমাঈল হোসেন সেলিম, মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ, ময়নুল হক, কামরুল হাসান শাহিন, লোকমান আহমদ, সোহেল ইবনে রাজা।  

অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, শাকিল মোর্শেদ, সালেহা কবির শেপী, আলতাফ হোসেন সুমন, বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহপরান, মাহবুব আলম, আহাদ চৌধুরী শামীম, শাহিন আলম জয় প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।