ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অনির্বাচিত সরকার নেই: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অনির্বাচিত সরকার নেই: কাদের

ঢাকা: পৃথিবীর কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তত্ত্বাবধায়ক বা অনির্বাচিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সরকার ব্যবস্থা নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১৩ মার্চ) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের চিরাচরিত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্তর্নিহিত আদর্শ ও চেতনার আলোকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মূলনীতি নির্ধারণ করা হয়। ৩০ লাখ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে রক্তের আখরে রচিত সংবিধানে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল রাষ্ট্র বিনির্মাণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদ দেশের অস্তিত্বের পরিপন্থী এবং গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের প্রধান শত্রু। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান তার অসাংবিধানিক ও অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে এদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করে এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িকতার বীষবৃক্ষ রোপন করে। তারই ধারাবাহিকতায় বিএনপি সবসময় রাজনীতিতে ও নির্বাচনী মাঠে গুজব ছড়িয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার কার্ড খেলে আসছে। দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও জঙ্গিবাদের প্রতিভূ হলো বিএনপি। বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট আমলে তারা দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। আজ রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে উন্মত্ত বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসী পন্থায় সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিচ্ছে। বিএনপি নেতাদের বক্তৃতা ও বিবৃতিতে প্রমাণিত হয় সাম্প্রতিক সময়ে পঞ্চগড়ে সংঘটিত কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় তারা জড়িত। এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের দায়িত্বশীল নেতারা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে এবং বিশেষত তাদের বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও আইডি থেকে গুজব ছড়িয়ে ঘটনাকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, পৃথিবীর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশেও সেভাবেই সংবিধানের বিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৃথিবীর কোনো সভ্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তত্ত্বাবধায়ক বা অনির্বাচিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সরকার ব্যবস্থা নেই। সংবিধানকে নির্বাসনে দিয়ে নির্বাচনকে প্রতিহত করার পাঁয়তারায় লিপ্ত যারা মূলত তারা জনগণকে আড়ালে রেখে চিহ্নিত গোষ্ঠীর স্বার্থ-সংরক্ষণে ব্যস্ত। দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার কোনো মানুষ তাদের এ অপরাজনীতির বাস্তবায়ন হতে দেবে না।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে এদেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই ভোটাধিকার সুরক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে। আমরা প্রত্যাশা করি, সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সব রাজনৈতিক দলেরই দায়িত্বশীল ও সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করা আবশ্যক। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, অতীতে নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মতো গণহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। বর্তমানেও তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে একইভাবে সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পথ বেছে নিয়েছে, যা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের প্রধান প্রতিবন্ধক।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।