ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকতার লীলাভূমি হতে দেব না: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকতার লীলাভূমি হতে দেব না: কাদের

ঢাকা: বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদী সাম্প্রদায়িকতার লীলাভূমিতে পরিণত হতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদাক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে রোববার (১৯ মার্চ) আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওযামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনও বিএনপি বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তান বানাতে চায, বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকতা, জাঙ্গিবাদে ফিরিয়ে নিতে চায়। আমাদের আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শপথ নিতে হবে, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে ওই মৃত্যু উপত্যকা হতে দেব না, আমাদের এই মাতৃভূমিকে আমরা সম্প্রদায়িকতার লীলাভূমিতে পরিণত হতে দেব না। আমাদের এই মাতৃভূমিকে আমরা জঙ্গিবাদী শক্তির কাছে ফিরিয়ে দেব না। এই মাতৃভূমিকে আমরা অর্থ পাচারকারীদের হাতে তুলে দিতে পারি না, দুর্নীতিবাজদের হাতে তুলে দিতে পারি না, আমাদের মাতৃভূমিকে গণতন্ত্র হত্যাকারীদের হাতে তুলে দিতে পারি না। তাই আমাদের বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আজ নেই, তাঁর উত্তরাধিকার বেঁচে আছেন। বঙ্গবন্ধুর দুটি শব্দ স্বাধীনতা আর মুক্তি। বঙ্গবন্ধু আজকে নেই কিন্তু বাংলা নামের এই দেশে তাঁর উত্তরাধিকার বেঁচে আছে। এই বাংলাদেশ যতদিন থাকবে স্বাধীনতা ও উত্তরাধিকারের মৃত্যু কোনোদিন হবে না। বঙ্গবন্ধু বেঁচেছিলেন মাত্র ৫৪ বছর ৭ মাস ৩ দিন। এই সময়ে তিনি ৮৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাগারে ছিলেন। অনেকে ইতিহাসের মহানায়কের সঙ্গে ইতিহাসের ফুটনোটের তুলনা করেন। ইতিহাসের ফুটনোট আর ইতিহাসের মহানায়ক এক কথা নয়। স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক আর স্বাধীনতার ঘোষক এক কথা নয়। পাঠক অনেকেই ছিলেন, তারা ছিলেন ঘোষণার পাঠক, ঘোষক কিন্তু ছিলেন একজন বঙ্গবন্ধু। ঘোষণা দেওয়ার বৈধ অধিকার বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কারও ছিল না। ’৭০-এর নির্বাচনে বাংলার জনগণ বিপুল ভোটে বঙ্গবন্ধুকে বিজয়ী করে স্বাধীনতার ঘোষণার বৈধ অধিকার তাকেই দিয়েছিল। সেই অধিকার বলে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, এ ঘোষণার আর কারো কোনো অধিকার ছিল না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।