ঢাকা: ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ছাত্রনেতা ও বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার একজন বলে খ্যাত নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যু হয়েছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (২৯ মার্চ) ভোররাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যু হয়।
তার প্রেস সচিব অনিকেত রাজেশ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভোর ৪টা ৩৭ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূরে আলম সিদ্দিকী মারা যান।
নূরে আলম সিদ্দিকী স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।
সাবেক এই ছাত্রনেতার মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহে নেওয়া হবে। সেখানে জানাজার পর বাদ আছর রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার জানাজা হবে। ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার পরে সাভারে তাকে দাফন করা হবে বলা জানানো হয়েছে।
সত্তরের দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা নূরে আলম সিদ্দিকী ১৯৭০-১৯৭২ মেয়াদে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে ছিল তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধের চার খলিফার একজন হিসেবে তাকে উল্লেখ করা হয়, মুজিববাহিনীর অন্যতম কর্ণধার ছিলেন তিনি।
নূরে আলম সিদ্দিকী ছয় দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলনে অংশ নেওয়াসহ তৎকালীন সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন যশোর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯৬ সালের সপ্তম ও ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে অংশ নিয়েছিলেন নূরে আলম সিদ্দিকী।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
এসএ