ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

আমাদের সংগ্রাম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য: মির্জা ফখরুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
আমাদের সংগ্রাম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য: মির্জা ফখরুল

ঢাকা: সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা সংগ্রাম করছি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে পল্লবী থানা বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংগ্রাম করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এমন একটি সরকার আমাদের ওপরে চেপে বসেছে, যে সরকার মানুষের মর্যাদা দিতে জানে না, মানুষের জীবনের মূল্য দিতে জানে না! তারা যে কোনো উপায়ে হোক ক্ষমতা আঁকড়ে ধরতে চায়। কেউ বাদ যাচ্ছে না। শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা না, সাধারণ মানুষও বাদ যাচ্ছে না। নওগাঁর একজন নারীকে র‍্যাব কি কারণে তুলে নিয়ে গেল? কিভাবে তা মৃত্যু হলো- তা এখনো জানা যায়নি।

ডিজিটাল আইনের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই আইনের অপপ্রয়োগ করা হচ্ছে। এই অপপ্রয়োগের ফলে একজন অসহায় নিরাপরাধ নারীকে জীবন দিতে হলো। এর দায় কে নেবে? এর সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে। প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে শুধু মামলা না, এই সরকার আরও তিনজন সম্পাদককে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। তারা হলেন- সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও যায়যায়দিনের সাবেক সম্পাদক শফিক রেহমান। অসংখ্য নেতাকর্মীকে নির্যাতন হয়রানি করছে। আর এখন সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হচ্ছে। আজকের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা, কথা বলার স্বাধীনতা, কোনোটাই নেই দেশে।

তিনি বলেন, সরকার আবারও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে নাই, কিন্তু রাজনৈতিক দলের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। তারা আবারও একটা নতুন নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। ১৪ ও ১৮ সালের মতো রাতের আঁধারে ভোট করে ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু এদেশের জনগণ তা হতে দেবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দশ দফা দিয়েছি। সেখানে বলেছি, এই সংসদকে বিলুপ্ত করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠিত হবে। নির্বাচনে যদি বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়, তার মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। এর মধ্যদিয়ে রাষ্ট্রের কাঠামো মেরামত করা হবে। কারণ বর্তমান সরকার সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।

এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
টিএ/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।