ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ডিএসএ’র মাধ্যমে সমালোচকদের নির্যাতন করছে সরকার: মোশাররফ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
ডিএসএ’র মাধ্যমে সমালোচকদের নির্যাতন করছে সরকার: মোশাররফ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনাকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বলে ক্ষমতাসীনরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে নির্যাতন করছে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।  

তিনি বলেন, আজ যেভাবে বেঁচে আছি, সেটাকে বেঁচে থাকা বলে না।

কেউ কথা বলতে পারে না। ফেসবুকে কমেন্ট করতে পারে না। সাংবাদিকদের নির্যাতন করা হচ্ছে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি তার বড় প্রমাণ। এই মামলার শুনানি আজকে ১০০ বার সময় পিছিয়েছে। সাংবাদিকদের কোনো স্বাধীনতা নেই।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে 'জাগপা প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ঘোষিত যুগপৎ ১০ দফা কর্মসূচিতে দাবি আদায় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

আলোচনা সভাটির আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে কারও নিরাপত্তা নেই। তারা ৭২ থেকে ৭৫ সালে রক্ষীবাহিনী করে হাজার হাজার তরুণ ও মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিলো। ঠিক একইভাবে আজ র‍্যাব বাংলাদেশের মানুষের ওপর কি রকম নির্যাতন নিপীড়ন চালাচ্ছে তা দেশবাসী সবাই জানে।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, এই সরকারের আমলে আমাদের ৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করেছে, এখন হাজারের বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১ লাখের ওপর মিথ্যা মামলা দিয়েছে। অতএব ক্ষমতাসীন সরকার যদি সোজা পথে না আসে তাহলে অতীতে যেভাবে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে স্বৈরাচার হটিয়েছিলো তেমনই ঘটবে। অতীতে স্বৈরাচার আইয়ুব টিকতে পারেনি। স্বৈরাচার এরশাদ টিকতে পারেনি। এই আওয়ামী লীগও পারবে না। আমি মনে করি সময় বেশি নেই এ দেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়াবে। এ ক্ষেত্রে বরাবরের মতো জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা ভুমিকা রাখবে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, এই সরকারের লোকেরা সিন্ডিকেট করে বিদেশে টাকা পাচার করে প্রাসাদ বানাচ্ছে। তারা সবকিছুতেই সিন্ডিকেট করছে। আজকে বিদেশি গবেষণা সংস্থা বলছে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে। দেশে আইনের শাসন নেই, সুশাসন নেই, মানবাধিকার নেই। যে কারণে আমেরিকা বাংলাদেশের সেনা কর্মকর্তা, পুলিশ প্রধানের নামে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

এরপর তিনি বলেন, দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এই গায়ের জোরের সরকারকে হটানোর কোনো বিকল্প নেই। সেজন্য সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার। কোনোমতেই এই সরকারের অধীনে আমরা বিএনপি ও সমমনা যারা আছে সবাই একবাক্যে বলেছে নির্বাচনে যাব না।

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, এই সরকারের অধীনে ভোট হলে কী হবে তা সবারই জানা। তারা আবারও ইভিএমে ভোট দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের আন্দোলন  ও জনগণের দাবির মুখে নির্বাচন কমিশন ইভিএম বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাগপা'র সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান। সঞ্চালনা করেন জাগপা'র সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাত।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপার আ স ম মেজবাহউদ্দিন, ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী ও যুব জাগপার সভাপতি মীর আমীর হোসেন আমু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২৩
ইএসএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।