ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপির আন্দোলনের পদ্ধতি হচ্ছে হত্যা-খুন-ষড়যন্ত্র: শিক্ষামন্ত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৩
বিএনপির আন্দোলনের পদ্ধতি হচ্ছে হত্যা-খুন-ষড়যন্ত্র: শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

চাঁদপুর: বিএনপির ঈদ পরবর্তীকালে আন্দোলন সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, একজন অবৈধ ক্ষমতা দখলদার জিয়াউর রহমানের পকেট থেকে ক্যান্টনমেন্টের ভেতর জন্ম নেওয়া একটি দল বিএনপি। সে দলটি আন্দোলনের কথা বলে প্রায়সই।

কিন্তু তারাতো শিখেছে হত্যা, খুন ও ষড়যন্ত্র। এটাই হচ্ছে তাদের পদ্ধতি।

রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার কদমতলা মন্ত্রীর নিজস্ব বাসবভনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।  

দীপু মনি বলেন, আওয়ামী লীগ আন্দোলন করেছে, আন্দোলনের ফসল হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ভাষার অধিকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র পেয়েছি এবং উন্নয়ন পাচ্ছি। আর বিএনপি ও তাদের দোসর জামায়াত, তারা যখন আন্দোলনের কথা বলে তখন জনগণ কিছুটা হলে শঙ্কিত বোধ করে। কারণ তাদের পদ্ধতি হচ্ছে অগ্নি সন্ত্রাস, দেশের সম্পদ ধ্বংস করা, মানুষের জান-মালের ওপর হামলা করা। আমরা জানি বাংলাদেশের মানুষ এই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ চায় না। দেশকে অস্থিতিশীল করবার যত অপচেষ্টা তার কোনোটাই মানুষ চায় না।  

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বিএনপি যতই আন্দোলনের হুমকি দেক না কেন, আন্দোলন কখনই কোনো জনবিচ্ছিন্ন দল আন্দোলন করতে পারে না। আন্দোলন করতে হলে জনগণের সক্রিয় ও স্বতস্ফূর্ত সমর্থন লাগে। জনগণের সক্রিয় ও স্বতস্ফূর্ত সমর্থন বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান যে অবস্থান, তা বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বেই এসেছে। মানুষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশে এগিয়ে যাবে, সত্যিকারের সোনার বাংলা হবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।  

মন্ত্রী আরও বলেন, এখন  বৈশ্বিক অর্থনৈতিক যে একটি চাপ রয়েছে, সে চাপের ফলে আমাদের এখানেও হয়তো একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষ, তারা কিছুটা চাপের মধ্যে আছে। কিন্তু আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে খাদ্য উৎপাদন বাড়াচ্ছি। যে কারণে অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় এখনও আমরা একটি স্বস্তিকর জায়গায় আছি। আমাদের সে জায়গা ধরে রাখতে হবে এবং আরও ভালো জায়গায় যেতে হবে। আর সেটা সম্ভব শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মাধ্যমে। অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারি দলের মাধ্যমে এটি সম্ভব নয়। যারা হাওয়া ভবন খোয়া ভবন করে তাদের দিয়ে কখনও দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়।  

তিনি বলেন, দেশের যিনি নেতা হন, তিনি যদি এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে তাকে দিয়ে দেশের উন্নয়ন হয় না। আর বিদেশে বসে রিমোর্ট কন্ট্রোলে দল চালানো যারা আছেন, কিংবা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবার জন্য বিদেশে বসে নির্দেশ দেন, ষড়যন্ত্র করেন, তাদের দিয়ে কোনো দিন দেশের উন্নতি হবে না। এটি দেশের মানুষ বুঝে এবং জানে। অতএব জনগণের সমর্থন শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে, থাকবে ইনশাআল্লাহ। আগামী নির্বাচনে জনগণের সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনা আবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন এটাই আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।  

এ সময় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাসুদুর রহমান, পুরান বাজার কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জহির উদ্দিন মিজিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।