ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গণতন্ত্র অব্যাহত বলেই একজন সফল রাষ্ট্রপতির বিদায়, নতুনের শপথ: তথ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
গণতন্ত্র অব্যাহত বলেই একজন সফল রাষ্ট্রপতির বিদায়, নতুনের শপথ: তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অব্যাহত গণতন্ত্রের কারণেই একজন সফল রাষ্ট্রপতির সম্মানজনক বিদায় ও নতুন রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণ সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনার সময় তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন শপথ নিয়েছেন। ২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদে বিদায় নিয়েছেন। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম একজন ব্যক্তি ১০ বছর সম্মান নিয়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনের পর বিদায় নিলেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের চর্চা অব্যাহত আছে বিধায় এটি সম্ভব হয়েছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে গত সোয়া ১৪ বছরে বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে। নির্বাচন ভণ্ডুলের অপচেষ্টা হয়েছে। নির্বাচন ভণ্ডুল করে গণতন্ত্রের চর্চাকে ব্যাহত করা, বিশেষ ধরণের সরকার আনার অনেক অপচেষ্টা হয়েছে, এখনও অব্যাহত আছে। কিন্তু আমাদের দেশের ইতিহাসে একজন রাষ্ট্রপতি ১০টি বছর অত্যন্ত সম্মানের সাথে দায়িত্ব পালনের পর বর্ণাঢ্যভাবে তাকে আমরা বিদায় জানাতে সক্ষম হয়েছি। আমি মনে করি এতে গণতন্ত্রেরই বিজয় হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী এ সময় নতুন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের জীবনের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে আজ শপথ গ্রহণ করেছেন, তিনি অত্যন্ত যোগ্যতা ও বিচক্ষণতার সাথে বিগত রাষ্ট্রপতির মতো জনবান্ধব রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এ সময় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নয়া রাষ্ট্রপতির ভূমিকা সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সেখানে সরকারের ভূমিকা গৌণ। সরকার শুধু ফ্যাসিলেটেটরের ভূমিকা পালন করে। এমন কি তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট সমস্ত সরকারি দপ্তর এবং তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়।

নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে সফলভাবে বেশ কয়েকটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে। সামনে মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনগুলো নিয়ে কোনো প্রশ্ন আসে নাই। গাইবান্ধার নির্বাচন বাতিল নিয়ে প্রশ্ন ছিল, কিন্তু তারপরও ভোট বাতিল নির্বাচন কমিশনই করেছিলো। অর্থাৎ তারা অত্যন্ত দক্ষ-দৃঢ়তার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচনও একটি অবাধ অংশগ্রহণমূলক, উৎসাহব্যঞ্জক ও সবার অংশগ্রহণে বিশ্বময় গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে, দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি যেমন আগে বিচক্ষণতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন এ ক্ষেত্রেও অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।