ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

প্রণোদনা দিয়ে শ্রমিকের জীবন বাঁচিয়েছেন শেখ হাসিনা: তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মে ১, ২০২৩
প্রণোদনা দিয়ে শ্রমিকের জীবন বাঁচিয়েছেন শেখ হাসিনা: তাপস

ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির সময় যখন সারাবিশ্ব স্তব্ধ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকসহ সব পেশাজীবীদের প্রণোদনা দিয়ে জীবন বাঁচিয়েছিলেন। তাদের জীবিকা চালিয়ে রেখেছিলেন।

বিএনপি তাদের আমলে সারের দাবীতে ২০ কৃষককে হত্যা করেছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুতের দাবিতে ১৮ জনকে তারা হত্যা করেছিল। জুটমিল খুলে দেওয়ার জন্য শ্রমিকরা যখন আন্দোলন করেছিল তখন ২০ জন শ্রমিককে হত্যা করেছিল।

সোমবার (১ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

মেয়র তাপস বলেন, ২০০১ সালে সূক্ষ্ম কারচুপির মাধ্যমে বিএনপি জয় পেয়ে ২০০২ সালে শ্রমিক বিরোধী, জনগণ বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের জীবন ধ্বংসে বিএনপি-জামাত সরকার লিপ্ত হয়েছিল। আদমজী জুট মিল শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান নয়, সারা বিশ্বের মধ্যে সর্ববৃহৎ পাটকল ছিল। ২০০২ সালে সেই জুটমিলের ৩০ হাজার শ্রমকে ঘর ছাড়া করে বিএনপি-জামাত জোট সরকার। সেদিনে সেই তাণ্ডবের কথা আমাদের কানে এখনো শোনা যায়। সেদিনে সেই শ্রমিকদের কান্না আজকেও আমরা শুনতে পাই।

বিএনপির ২০০১-০৬ সালের দুঃশাসনের কথা উল্লেখ করে তাপস আরও বলেন, অপারেশন ক্লিন হার্ট করে তারা ৯২ জনকে হত্যা করেছিল। আজকে শেখ হাসিনা মায়ের মমতায় শ্রমিকদের আলিঙ্গন দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকের আন্দোলন করেছিল। ছাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছিল, অত্যাচার করা হয়েছিল। আর শেখ হাসিনা গার্মেন্টস শ্রমিকদের দুই দফা বেতন বৃদ্ধি করে তাদের ন্যায্য দাবি আদায় করেছিলেন। এভাবে কৃষকদেরকে নিয়ে শেখ হাসিনা আজকে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপি রাজনীতিতে পরাজিত। এখন তাদের টার্গেট অর্থনীতি। নব কৌশলে তারা অর্থনীতিতে আগুন জ্বালাতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলন মানুষ বুঝে গেছে। এসব ভুয়া, ২৭ দফা ভুয়া। যারা গণ আন্দোলনই করতে পারেনি তারা গণঅভ্যুত্থান কীভাবে করবে। বিএনপি পথহারা পথিকের মতো দিশেহারা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আযম খসরু।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, মে ১, ২০২৩
এনবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।