ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পুরোনো কায়দায় তারা আরেকটি নির্বাচন করতে চায়: ফখরুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৩
পুরোনো কায়দায় তারা আরেকটি নির্বাচন করতে চায়: ফখরুল মির্জা ফখরুল

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গোটা রাষ্ট্রকে তারা একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এই অবৈধ সরকার যারা জনগণের ভোটের নির্বাচিত হয়নি, তারা মানুষকে বোকা বানিয়ে গণতন্ত্রগামী মানুষকে হত্যা করে, গুম করে ও খুন করে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে।

 

সোমবার (০১ মে) মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে শ্রমিক দল আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে বিএনপি, শ্রমিকদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

সমাবেশে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আবার সেই পুরোনো কায়দায় তারা আরেকটি নির্বাচন করতে চায়। আবার মানুষ যেন ভোট দিতে না পারে, ভোট চুরি করে যেন ক্ষমতায় আসতে পারে এবং তারা যেন আবার ক্ষমতা দখল করতে পারে, সেজন্য এখন থেকে তারা হুমকি দিয়ে জনগণকে ভয় দেখাতে চায়।  

তিনি বলেন, আজকে গোটা বাংলাদেশকে কারাগারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতার সব স্বপ্নগুলো ভেঙ্গে চুরে তছনছ করেছে। এই আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারই পুনরাবৃত্তিতে আবার একদল শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার নয়, এই সরকার কৃষক বিরোধী সরকার, এই সরকার শ্রমিক বিরোধী সরকার, এই সরকার গণবিরোধী সরকার, জনগণের সঙ্গে এ সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই আজকে তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে।  

ফখরুল বলেন, আজকে আমাদের নিজেদের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে, শ্রমিকের স্বার্থে, কৃষকের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে রুখে দাঁড়াতে হবে।  

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আবার হুমকি দেন অগ্নি সন্ত্রাস করতে দেওয়া হবে না। অগ্নি সন্ত্রাস তো করেন আপনারা। নিজেরা অগ্নি সন্ত্রাস করে বিএনপি ওপর দোষ চাপান। বাসের মধ্যে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপান। রাজধানীর গুলিস্তানে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষকে হত্যা করেছেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এদেরকে পরাজিত করতে হবে।

ফখরুল বলেন, আমরা জনগণের স্বার্থে, বাংলাদেশের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বার্থে ও গণতন্ত্রের স্বার্থে ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছি। এর প্রধান দাবি হচ্ছে, এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে তাদের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার, শ্রমিকদের সরকার ও কৃষকদের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে, এই লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লড়াইয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে, আগামী দিনে বাংলাদেশ স্বাধীন থাকবে কিনা, দেশের মানুষ মুক্ত থাকবে কি থাকবে না। এ লড়াই আমাদের মুক্তির লড়াই, আমাদের স্বাধীনতার লড়াই, এ লড়াই দেশনেত্রীকে মুক্ত করার লড়াই, এ লড়াই তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার লড়াই।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৪ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২৩
টিএ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।