ঢাকা: সরকারকে গণআন্দোলনের মাধ্যমে বিদায় দেওয়া ছাড়া কোনভাবেই দেশকে রক্ষা করা সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। বলেছেন, এবার বিরোধীদল ও জনগণ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, তাদের এই ঐক্যই হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি।
মঙ্গলবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘৪৭তম ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং-মার্চ দিবস’ উপলক্ষে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং-মার্চ উদযাপন কমিটি আয়োজিত মানববন্ধন-সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, আগামী দুই তিন মাস বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান দখলদার সরকার তাদের জমিদারি বহাল রাখবে; নাকি বাংলাদেশের মানুষ জিতবে, বাংলাদেশ জিতবেতা এ সময়ের মধ্যে আমরা মীমাংসা করব। মানুষ রাজপথে নামতে শুরু করেছে। মানুষের ঐক্যের মুখে কোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। এবার বিরোধীদল ও জনগণ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এই ঐক্যই হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি।
সাইফুল হক বলেন, সরকারকে বলতে চাই আপনারা যদি অনুগত করার পররাষ্ট্রনীতি বন্ধ করতে না পারেন বাংলাদেশের মানুষতো এমনিই আপনাদের বিদায় দেবে। আপনারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, মান-সন্মান নিয়ে বাঁচার যে সুযোগ সেটা পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছেন। বাকি ছিল স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় মর্যাদা; সেটাকে পর্যন্ত আপনারা বিসর্জন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সেই কারণের জন্য যদি আজকে দেশকে রক্ষা করতে হয়, জনগণকে রক্ষা করতে হয়, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হয়, গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করতে হয়, অবাধ নিরপেক্ষ বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন যদি নিশ্চিত করতে হয়, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যদি নিশ্চিত করতে হয় তাহলে এই সরকারকে গণ আন্দোলন, গণ জাগরণের পথে বিদায় দেওয়া ছাড়া বাংলাদেশকে কোনভাবেই আমরা রক্ষা করতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, সেই লড়াইটা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টিসহ গণতন্ত্র মঞ্চ ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। বিএনপিসহ সব বিরোধীদল রাজপথে কার্যকর ঐক্য গড়ে তুলেছে। এই লড়াইটা কোনো দলীয় দাবির জায়গা থেকে না।
এবারের লড়াইটা দেশের মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য, ভাতের অধিকারের জন্য, মর্যাদার জন্য, সম্মানের জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য। সেই লড়াইয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হবো। ইতোমধ্যে মানুষ রাজপথে নামতে শুরু করেছে।
তিস্তা চুক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার ন্যায্য হিস্যা চায়। আমরা ছিটমহল, বন্দরগুলোর সমস্যা সমাধান করে দিয়েছি। কিন্তু ভারত আমাদের পানির মীমাংসা করেনি। বন্যার সময় আমাদের যখন পানির দরকার থাকে না, তখন ভারত আমাদের এখানে পানি ফেলে দেয়। এতে আমাদের ফসল, জমি সব নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু খরার সময় যখন আমাদের পানির দরকার আমাদের ফসল, প্রাণ- প্রকৃতির জন্য, তখন ভারত আমাদের পানি দেয় না।
পারভীন ভাসানীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রগতিশীল ন্যাপের আহবায়ক পরশ ভাসানীসহ দলের অন্যান্য সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৩
ইএসএস/এমএমজেড