ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গুলি করে নেতাকর্মীদের পঙ্গু বানানো, এটা কোনো গণতন্ত্রের ভাষা?

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
গুলি করে নেতাকর্মীদের পঙ্গু বানানো, এটা কোনো গণতন্ত্রের ভাষা?

খুলনা: পুলিশের হামলায় খুলনায় ৩০০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। অর্ধশত নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।

এছাড়া ১৩০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। অন্যান্য জেলাগুলোয় তো সমাবেশ হয়েছে। বাধা দিয়েছে নানাভাবেই। কিন্তু এভাবে প্রকাশ্যে পুলিশ গুলি করে নেতাকর্মীদের পঙ্গু বানাবে, এটা কোনো গণতন্ত্রের ভাষা? এটা আজকে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছে জনগণের কাছে।

শনিবার (২০ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় খুলনা প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খুলনায় যে কারবালাটি রচনা করা হলো, এটি নজিরবিহীন। জনসভা হচ্ছে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। এখানে সংঘাত-সংঘর্ষের তো কিছু নেই। কিন্তু পায়ে পাড়া দিয়ে খুলনার পুলিশ-প্রশাসন এই রক্তাক্ত সংঘর্ষের সৃষ্টি করেছে। এই সহিংস সন্ত্রাসের জন্য দায়ী খুলনার পুলিশ প্রশাসন।

রিজভী বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রায় বলে থাকেন যে উনি গণতন্ত্র দিয়েছেন, উনিই গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। অন্য কোনো দেশ যারা স্যাংশন দেবে আমরা তাদের কাছ থেকে পণ্য কিনবো না। কিন্তু আবার দেখা যাচ্ছে, সেই দেশের ফার্নেস অয়েল থেকে শুরু করে অন্যান্য জ্বালানির জন্য তাদের কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করছে। এই দ্বিচারিতা এবং দ্বিমুখী কথা-বার্তা এই সরকারেরই সাজে, কারণ এদের কোনো গণভিত্তি নেই।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহপ্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলম মনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম, বিএনপি নেতা আশরাফুল আলম নান্নু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেনসহ দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। বিকেলে প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হন। আগে থেকেই সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রাইভেটকারে ক্লাবের সামনে আসেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকে। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অপরদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনার পর শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ১৩০০ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করে খুলনা সদর থানা পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
এমআরএম/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।