ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমাতে চেষ্টা করছে সরকার: কাদের 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২৩
সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমাতে চেষ্টা করছে সরকার: কাদের 

ঢাকা: সিন্ডিকেট বলেন আর যাই বলেন, সিন্ডিকেট তো আর সরকারের চেয়ে শক্তিশালী না। সরকার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমাতে চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

 

রোববার (২ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে সরকার ভুল তথ্য দিচ্ছে বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের প্রধান নেতার মুক্তির ব্যাপারে দর্শনীয় একটি মিছিলও করতে পারেনি, এমন বিরোধী দল। তারা নির্বাচনে যেমন ব্যর্থ, আন্দোলন তো তারা ১০ ডিসেম্বরে দখলই করে ফেলছিল প্রায়, খালেদা জিয়ার হাতে ১১ তারিখ থেকে দেশ থাকবে, তারেক জিয়া বীরের বেশে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করবে এসব অনেক লাগাম ছাড়া কথা তারা অনেকবার বলেছেন। এটিই হলো বাস্তবতা। বাংলাদেশে এমন একটি সরকার এখন ক্ষমতায়, যে সরকার সত্যকে লুকাচ্ছে না। আমরা সত্যকে লুকিয়ে কোনো ফায়দা তুলতে চাচ্ছি না। আর বাংলাদেশে অভাবে, কষ্টে একটি মানুষও কী মরেছে? 

জিনিসপত্রের দাম বাড়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বাজার পরিস্থিতির ওপর সরকারের সেভাবে হাত ছিল না। বাজার পরিস্থিতি ওঠানামা হবেই। আজকের সংকটে ওঠানামার মাত্রাটা আরও বাড়বেই এটি খুব স্বাভাবিক। সবকিছু সরকারের বাধন কষনের ওপর নির্ভর করে এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু মানুষের গরু কেনার সাধ্য তো আরও বেড়ে গেছে। কাজেই বাজারের ওঠানামাটা ভিন্ন জিনিস। আমরা তো খাদ্যে এখনও ভালো আছি। আমাদের কোনো খাদ্য সংকট এ মুহূর্তে নেই। অপেক্ষা করুন কিছু বিষয় আছে, ওঠানামার মধ্যেই এক সময় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ফিরে আসবে সেটা আমরা মনে করি। কিছু সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, সেটি প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, মানুষের কষ্ট হবে কোনো কারণে সেটি সিন্ডিকেট হোক, যেই এটার কারণ, সেটা একটা বাধা, সেই বাধাটাতো দূর করতেই হবে। সিন্ডিকেটের কারণে মূল্যবৃদ্ধির বিষয় যখন ঘটবে তখন সরকারের একটা দায়িত্ব আছে। সরকার খোঁজ-খবর নিচ্ছে না এমন নয়। কিন্তু এখানে সরকারের সংশ্লিষ্ট যে মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি এটা লাগাম ছাড়া থাকবে না, এক সময় এটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে। সিন্ডিকেট বলেন আর যাই বলেন, সিন্ডিকেট তো আর সরকারের চেয়ে শক্তিশালী না। সরকার চেষ্টা করছে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমাতে।

সরকারের পতনে বিরোধীদলের আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন শুনেছি ৩৬ পার্টি। ছিল ৫৪, ৫৪ থেকে ৫২, সর্বশেষ ৩৬ দলের রূপরেখা, এক দফার আন্দোলন। ৩৬ দল এক দফার আন্দোলন করবে। আন্দোলন তো এখনও শুরু হয়নি। শুরু হতে হতে আবার কয় দল এখান থেকে কেটে পড়ে এবং কয় দল শেষ পর্যন্ত থাকে সেটাও অবশ্য দেখার বিষয়। কারণ এরমধ্যে আমরা যে খোঁজ-খবর পাচ্ছি, পত্রপত্রিকায়ও বেরিয়েছে খবর এ যে শরিক ৩৬ পার্টি এদের মধ্যে এখন দরকষাকষি চলছে এক দফার আন্দোলন সফল হলে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে কে কী পাবে, সেটি নিয়ে দেনদরবার চলছে। কাজেই সবকিছু মিলিয়ে এ আন্দোলনের পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় বলা মুশকিল।

তিনি বলেন, আমাদের অবস্থান আমরা রাজনীতিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো। রাজনীতির সঙ্গে যখন সশস্ত্র বা সহিংস কিছু যোগ হবে তখন পরিস্থিতিই বলে দেবে আমরা কী করবো। সেটা তো আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না। সেটা দেশের জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরাও থাকবো। আমরা তো অলরেডি শান্তি সমাবেশ করে যাচ্ছি এবং আমাদের ঘোষণাই আছে ইলেকশন পর্যন্ত আমরা মাঠে, রাজপথে সতর্ক থাকবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২৩
জিসিজি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।