ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য অসহনীয় কোনো পর্যায়ে যায়নি: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০২ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৩
বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য অসহনীয় কোনো পর্যায়ে যায়নি: কাদের

ঢাকা: দেশের মানুষ স্বস্তিতে আছে এ কারণে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন ভালো নেই। এ মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বর্তমান বিশ্ব সংকটে বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য অসহনীয় কোনো পর্যায়ে যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সোমবার (৩ জুলাই) আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষ শান্তিতে আছে, আনন্দে আছে নাকি বিরোধী দলের ভাষায় মানুষ কষ্টে আছে? মানুষ আনন্দ থাকলে বিএনপির কষ্ট হয়, ফখরুল কষ্ট পাচ্ছে। মানুষ স্বস্তিতে আছে, আমি বলবো না খুব ভালো আছে। মানুষ স্বস্তিতে আছে মির্জা ফখরুল ইসলামের জন্য এটা অস্বস্তির কারণ। এজন্য তার মন ভালো নেই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমি তাকে (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) শুধু একটা কথা বলব- সারা বিশ্বের কথা নাই বা বললাম আশপাশের যে দেশগুলো আছে, মির্জা ফখরুল একটু যদি ঘুরে আসেন, বাজারে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন তাহলেই বুঝতে পারবেন, বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য বর্তমান বিশ্ব সংকটে অসহনীয় কোনো পর্যায়ে যায়নি। জনগণের সহনীয় ক্ষমতার মধ্যে দ্রব্যমূল্য রাখা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷মির্জা ফখরুল বাইরের খবর জানেন না। আশেপাশের দেশগুলোয় তাকে অনুরোধ করি ঘুরে আসতে বলি এবং বাজার বাজারে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে তাকে আমি অনুরোধ করি। তাহলে যদি সত্য কথাটা যদি বলেন।

এখন রাজনীতির জন্য সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। আজকে বিশ্বযুদ্ধের কারণে, নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা, পাকিস্তানের মতো দেশ, শ্রীলঙ্কার মতো দেশ হিমশিম খাচ্ছে। ভারতে দ্রব্যমূল্যের আগের চাইতে অনেক বেশি ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এটার জন্য বেশিরভাগই দায়ী বিশ্ব অর্থনীতি।

বাংলাদেশে কোনো সংকট ছিল না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের এখানেই কোনো সংকট ছিল না। আমাদের এখানে সবকিছু সহনীয় পর্যায়ে ছিল। তবে আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবকে বলি আপনি এইসব অবান্তর অভিযোগ যখন সরকারের বিরুদ্ধে আনছেন যখন বলছেন, এবারের ঈদে মানুষের কোনো আনন্দ ছিল না। আনন্দ না থাকলে গতবারের চেয়ে কত বেশি পশু এবার কোরবানি হয়েছে? এটার হিসেব কি উনার কাছে আছে? ৫১ লাখ বেশি কোরবানি হয়েছে।

পদ্মা সেতুর টোল আদায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এবার পদ্মা সেতুর কথা যদি বলি। পদ্মা সেতুতে আমাদের দিনে টোল আদায় হতো ১ কোটি ২০ থেকে ৩০ লাখ। এবারে ঈদের আগের দিন আমাদের পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছেন চার কোটি ৫৫ লাখ। মানুষ কি আনন্দে বাড়ি গেছে নাকি বিষণ্ণ চিত্তে বাড়ি গেছে? এর প্রমাণ এখানেই। আজকে বঙ্গবন্ধু সেতুতে সেখানেও ৩ কোটি ৫৫ লাখ একদিনে টোল আদায় হয়েছে। এত টাকা টোল কোথা থেকে এলো? মানুষই তো দিয়েছে। এবার কোরবানির চিত্রটা দেখুন। টোল আদায়ের চিত্রটা দেখুন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০২ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৩
এসকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।