ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সরকার আগাম নির্বাচন ঘোষণা করতে পারে: প্রিন্স  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
সরকার আগাম নির্বাচন ঘোষণা করতে পারে: প্রিন্স  

ময়মনসিংহ: বর্তমান সরকার আগাম নির্বাচন (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ) ঘোষণা করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

তিনি বলেন, আমরা কারও দিকে তাকিয়ে নয়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করছি।

বিদেশিরা আমাদের দাবি আদায় করে দেবে সেটা আমরা মনে করি না। আমরা মনে করি, গণতন্ত্রের পথে তারা আমাদের সহযোগী। আমাদের চলমান চূড়ান্ত আন্দোলন র্দীঘ সময় ধরে হবে না, অনেক ছোট হবে এই আন্দোলন। কারণ এই সরকারের নানা পরিকল্পনা আছে, এর মধ্যে তারা আগাম নির্বাচন দিয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে তফসিল ঘোষণা করে দিলে আমাদের আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব না। সেজন্য চূড়ান্ত আন্দোলনকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আমরা এখন চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে আছি।  

রোববার (১৬ জুলাই) বিকেল সোয়া ৬টার দিকে পূর্বঘোষিত ময়মনসিংহ বিএনপির এক দফা দাবির পদযাত্রা কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

নগরীর হরিকিশোর রায় রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর বিএনপি যৌথভাবে এই প্রস্তুতি সভার আয়োজন করেছে।  

সভায় ময়মনসিংহ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই সাংগঠনিক সম্পাদক আরও বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনে পথে বর্তমান সরকারই প্রধান বাঁধা। বিদেশিরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছে, সেখানে সরকার বলেছে- আগামী দিনে তারা বাংলাদেশে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে। কিন্তু বিদেশিরা তাদের আশ্বাসে বিশ্বাস রাখতে পারছে না। সে কারণে তারা বলেছে- আমরা সরকারের কথা শুনেছি। তার পরের লাইনে তারা আরও বলেছে- আমরা বাংলাদেশে অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা ভূমিকা পালন করতে চাই। তারা যদি সরকারের কথায় বিশ্বাস বা আস্থা রাখত, তাহলে তারা বলে যেত যে- সরকার বলেছে তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে, করুক কোনো অসুবিধা নাই।

কিন্তু সরকার বিদেশিদের বক্তব্য অপব্যাখ্যা করে জাতির সামনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করে প্রিন্স আরও বলেন, আমরা সরকারের বিভ্রান্তিতে কান দিতে চাই না। আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই সারাদেশে পদযাত্রা ঘোষণা করা হয়েছে। এটাকে স্বাভাবিক মনে করলে হবে না। অতীতের চেয়ে অনেক জমায়েত করতে হবে এই পদযাত্রায়। তাই যার যার অবস্থান থেকে সবাই সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিন। কারণ এর পরের কর্মসূচি কী হবে আমি জানি না- মনে করতে হবে এটাই সবচেয়ে বড় কর্মসূচি। সে লক্ষ্যে সবাই সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিন।  

এ সময় ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ময়মনসিংহ বিএনপির বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেস আলী মামুন, শরীফুল আলম।  
এছাড়া বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, এম এ হান্নান খান, কাজী রানা, মাহাবুবুল আলম, শামীম আজাদ, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, ফখরুদ্দিন আহম্মেদ বাচ্চু, আকতারুল আলম ফারুক, ডা. মোফাখার হোসেন রানা, শাহ শিব্বির আহম্মেদ ভুলু প্রমুখ।  

এ সময় বিএনপি, যুবদল, শ্রমিক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও ওলামা দলসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

তবে হাকডাকের এই প্রস্তুতি সভায় ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ সারির নেতারা উপস্থিত থাকলেও উত্তর জেলা বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা ছাড়া প্রভাবশালী ও মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রায় সব নেতারাই ছিল অনুপস্থিত। এনিয়ে সভা কক্ষের ভেতরে-বাইরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ায় গুঞ্জন ছিল প্রকাশ্য।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।