ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ছাত্রলীগ গতিশীল নয়, সুদিন ফেরাতে বললেন ওবায়দুল কাদের 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০২৩
ছাত্রলীগ গতিশীল নয়, সুদিন ফেরাতে বললেন ওবায়দুল কাদের  আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,  আমি ছাত্রলীগের সেক্রেটারিকে বলেছি ছাত্র রাজনীতিকে আরও একটিভ (গতিশীল) করতে হবে। ছাত্র রাজনীতি এখন সাধারণ শিক্ষার্থী এবং জনগণের মধ্যে আকর্ষণীয় না।

ছাত্র রাজনীতির সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে। আপনাদের সকলেরই দায়িত্ব এই ছাত্র রাজনীতি কে সকলের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘কোথাও কমিটি হয় না ৪-৫ বছর ধরে, কোথাও কমিটি হলেও গতিশীল না। ইডেন কলেজের প্রকৃত সমস্যা বের করতে রিপোর্ট করতে দিয়েছিলাম। সে রিপোর্টটা নেত্রীকেও দেখিয়েছি। ’

সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক উপ-কমিটির পরিচিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমান ছাত্র রাজনীতির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগে ছাত্র নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোর দিয়ে হেঁটে গেলে মেয়েরা কমন রুম থেকে বেরিয়ে দেখতো কোন নেতা যাচ্ছেন। আর এখন ছাত্র নেতারা হেঁটে গেলে কমন রুমে ঢুকে যায়। তার মানে মানুষের মধ্যে ভয় কাজ করছে। যে ছাত্র নেতারা ছাত্র ভর্তিতে ও সিট পাইয়ে দিতে টাকা নেয়। এটা দুঃখজনক।

সড়কে আইন না মানা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনজন উঠবে মোটরসাইকেলে মাথায় হেলমেট নেই। এরা রাজনৈতিক নেতা। ক্ষমতার দাপট দেখায়। এতো নেতার দরকার নাই, কর্মীর দরকার।

ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাঝেমধ্যে কষ্ট পান। ভিন্ন মতের অনেকের সঙ্গে বাধ্য হয়ে কাজ করতে হয়। কারণ আমাদের ছেলে মেয়েরা বিসিএস দেয় না। আমাদের সচিবালয়ে লোক দরকার।  

তিনি বলেন, এদেশের অনেকেই রাজনৈতিক পরিবার থেকে আসেনি। তাদের রাজনীতি ঔপনিবেশিক বস্তাপচা রাজনীতি। শেখ হাসিনার পরিবারের দিকে তাকান অক্সফোর্ড হাবার্ডে পড়াশোনা করা সবাই। কোনো হাওয়া ভবন থেকে আসেনি। সজিব ওয়াজেদ জয় আইসিটি বিশেষজ্ঞ। কিন্তু তিনি আসেন নীরবে। আমরা মাঝেমধ্যে ভাবি প্রকাশ্যে কেন তিনি আসেন না। নেত্রী বলেন, সময় সুযোগ বলে দেবে কে কখন যোগ্য নেতৃত্বে আসবে। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে দাওয়াত দিয়েও মায়ের পারমিশন না পাওয়ায় তাকে আনতে পারিনি।

শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপকমিটির উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপ-কমিটিতে যারা আছেন, তারা অন্য কোনো উপ-কমিটিতে থাকতে পারবে না। জেলা শাখায় থাকতে পারবে না। শিক্ষা উপ-কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কমিটি। এই কমিটিকে ছাত্র সংগঠনের কমিটিগুলোকে দেখতে হবে। ছাত্র রাজনীতিকে আকর্ষণীয় করতে হবে। ছাত্র রাজনীতির সুদিন ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের জনগণের কাছে আকর্ষণীয় করতে হবে। প্রয়োজনে আরও নেবেন। কর্মী বানাবেন। নেতা দরকার নেই।  

আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে সঞ্চালনা করেন দলের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৪ , ২০২৩
এনবি/এসএএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।