লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার পাটারীরহাট ইউনিয়ন বিএনপির নবগঠিত কমিটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ কমিটির আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক তালুকদারের বাড়ি উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডে।
কমিটি প্রকাশ হওয়ার পর তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ক্ষোভ বিরাজ করছে সাধারণ নেতাকর্মীদের মধ্যে।
জানা গেছে, কমলনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম কাদের, যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হুদা চৌধুরী ও এম দিদার হোসেনের গত ২৯ আগস্ট পাটারীরহাট ইউনিয়ন বিএনপির কমিটির অনুমোদন দেন। এতে আবদুর রাজ্জাক তালুকদারকে আহ্বায়ক এবং অ্যাডভোকেট সেলিমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৫৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটির আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন হাজিরহাট ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন। তিনি ভোটার হয়েছেন চরফলকন ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডে। পাটারীরহাট ইউনিয়নে তার বাড়ি না হলেও তিনি ওই ইউনিয়নের আহ্বায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন। শিক্ষাগত যোগ্যতায় পঞ্চম শ্রেণি পাস তিনি।
এ কমিটির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. সেলিম বলেন, নেতৃত্ব দেওয়ার মতো পাটারীরহাট ইউনিয়নে শিক্ষিত ও যোগ্যতা সম্পন্ন লোক থাকা সত্ত্বেও অন্য ইউনিয়নের অযোগ্য লোক দিয়ে কমিটি দেওয়া হয়েছে। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। উপজেলা নেতাদের খামখেয়ালিপনার কারণে তিনি এ কমিটিতে থাকতে চান না বলেও জানান।
এ বিষয়ে নবগঠিত পাটারীরহাট ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক বলেন, নদী ভাঙনের পর আমি সাময়িকভাবে হাজিরহাট ইউনিয়নে বসবাস করছি। চরফলকন ইউনিয়ন থেকে ভোটার তালিকা সংশোধন করে পাটারীরহাট ইউনিয়নে স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে।
কমলনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম কাদের বলেন, পাটারীরহাট ইউনিয়নের বিএনপির যোগ্য অনেক লোকই আছেন। কিন্তু সাবেক এমপি আশরাফ উদ্দিন নিজান সাহেবের পছন্দের কারণে এ কমিটি দিতে বাধ্য হয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৩
এসআই