ঢাকা: ওয়ান ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনার পাশাপাশি খালেদা জিয়াকেও মাইনাস করতে চাওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূস পক্ষ নিচ্ছে আজকের বিএনপি এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ড. ইউনূস শহীদ মিনারে যান না, স্মৃতিসৌধেও যান না।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে জয় বাংলা ঐক্য মঞ্চ আয়োজিত ‘বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায়’ এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিবাদ সভায় অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ড. ইউনূসকে নিয়ে আজকে তারা (বিএনপি) নতুন করে যেভাবে মাঠে নেমেছে, বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছে, বিচার বিভাগের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ এসব কিছুর পেছনে একটা মাহাত্ম্য আছে। মাহাত্ম্য হচ্ছে আজকে যারা আমাদের বিচার বিভাগ নিয়ে প্রশ্ন তোলে মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে গণতন্ত্রের কথা বলে দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে যারা নগ্ন হস্তক্ষেপ করে তারাই আজকে ড. ইউনূসকে নিয়ে মাথা নাড়ছে। আবার এক এগারোর মতো সরকার গঠন করতে চায়। এটা বুঝতে হবে আমাদের।
ড. ইউনূস বাংলাদেশে উপার্জন করে আমেরিকার ডেমোক্রেটিক পার্টিকে ডোনেশন দেয় এমন মন্তব্য করে কামরুল ইসলাম বলেন, ইউনূস সাহেব উপার্জন করেন বাংলাদেশে। সুদের টাকা হোক আর যেভাবেই হোক, কিন্তু ডোনেশন করে আমেরিকার ডেমোক্রেট পার্টিকে, আমাদের এখানে না।
তিনি বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বারবার সেটাই বলছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে, গ্রহণযোগ্য হবে। সরকার কোনোভাবে নির্বাচন কমিশনের ওপর প্রভাব বিস্তার করবে না। বিদেশে সফরে গিয়েও তিনি এগুলো বলে এসেছেন। কিন্তু তারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসবে না। তারা সরকারের পদত্যাগ চান, শেখ হাসিনার পদত্যাগ চান।
কামরুল বলেন, আমরা যদি সজাগ না থাকলে কিন্তু মহাবিপদ। ষড়যন্ত্র কিন্তু চলছে, গভীর ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্রের ডালপালা চারদিকে বেষ্টিত। নির্বাচন বানচাল করার একটি অগণতান্ত্রিক সরকার আনার আবার সেই ষড়যন্ত্র চলছে এক এগারোর মতো আরেকটা সরকার আনার। আবার ষড়যন্ত্র চলছে এরশাদের কায়দায় কিংবা জিয়ার কায়দায় সরকার আনা যায় কি না। এটা বাংলাদেশকে আবার পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়।
জয় বাংলা ঐক্য মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নাজমা কাউসারের সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাবেক ছাত্রনেতা ইসমত কাদির গামা, দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহআলম মুরাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩
ইএসএস/এএটি