ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নেপথ্যে ছিলেন জিয়াউর রহমান: শাজাহান খান 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নেপথ্যে ছিলেন জিয়াউর রহমান: শাজাহান খান 

মাদারীপুর: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক নৌমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান বলেছেন, জিয়াউর রহমানের কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রস্তাব করেন কর্নেল ফারুক। জিয়াউর সম্মতিও দেন।

 

তিনি বলেন, যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করলেন, সেই বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চক্রান্ত করেছেন জিয়াউর রহমানরা। অনেকে বলেন- খন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন। শুধু কি খন্দকার মোশতাক! -তা নয়। তার নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড হিসেবে ছিলেন জিয়াউর রহমান।  

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, মাদারীপুর জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাজাহান খান এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, সব শিক্ষকরা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাধীনতার সম্পর্কে উজ্জীবিত করবেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তাদের ভেতরে ধারণ করে রাখার অনুপ্রেরণা তৈরি করবেন। বর্তমান শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ; তাই প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বাঙালি জাতির চেতনা উজ্জীবিত করে দেশ গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই তারা স্বাধীনতার স্মৃতি, মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতি ধরে রাখতে পারবে।  

শাজাহান খান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন দেশ ও জাতির অতন্ত্র প্রহরী। তাই শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রার চিত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে তুলে ধরতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

মাদারীপুর জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সৈয়দ আকমল হোসেন পিলুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ওবাইদুর রহমান খান, পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়া, বিটিএ’র উপদেষ্টা আবদুল মান্নান, বিটিএ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক লালমিয়া জমাদার, সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মাদরাসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কাজী ওবায়দুর রহমান, সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খৈয়ারভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম প্রমুখ।  

পরে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে মাদারীপুর জেলা শিক্ষক সমিতির ৬৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে আমিনউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আকমাল হোসেন পিলুকে সভাপতি ও শিবচরের পাঁচ্চর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি করা হয় লাল মিয়া জমাদার ও কাজী ওবায়দুর রহমানকে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০,২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।