ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

বঙ্গবন্ধু-চার নেতার হত্যাকারীরা ক্ষমতায় যেতে মরিয়া: এনামুল হক শামীম 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২৩
বঙ্গবন্ধু-চার নেতার হত্যাকারীরা ক্ষমতায় যেতে মরিয়া: এনামুল হক শামীম 

শরীয়তপুর: বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকারী ও তাদের দোসরা ক্ষমতায় যেতে মরিয়া বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।  

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকাল শরীয়তপুরে দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা তাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ছিল বঙ্গবন্ধুর সঙ্গের কারোরই চিহ্ন রাখা যাবে না। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট হত্যা করেছিল এবং আওয়ামী লীগ যাতে নেতৃত্বশূন্য হয়ে যায় সে কারণে জাতীয় চার নেতার হত্যাযজ্ঞ সংগঠিত হয়েছিল।  

বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ে জাতীয় চার নেতাসহ অনেককেই নানাভাবে প্রলোভন দেখানো হয়েছিল খুনি মোশতাকের স্বৈরশাসিত সরকারের কেবিনেটে যোগদানের জন্য। কিন্তু তারা ঘৃণাভাবে সেটা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তখন থেকেই তারা জিয়া ও মোশতাকের কুনজরে পড়েন। তাদের দোসর বিএনপি জামায়াত ফের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া। তবে এ দেশের জনগণ তাদের আর কোনোদিন ক্ষমতায় আনবে না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। তাই তারা এসব ছাড়তে পারে না। জিয়াউর রহমান থেকে খালেদা জিয়া, খালেদা জিয়া থেকে তারেক রহমান একই ধারায় চলছে। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট একই সুতোয় গাঁথা। ওরা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও আওয়ামী লীগকে ভয় পায়, ওরা জনগণের রায়কে ভয় পায়। তাই পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সবসময় মরিয়া থাকে।

উপমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আগ্রাসী মনোভাবের রাজনীতি মানুষ আর চায় না। এই অপরাজনীতির কারণে দেশের মানুষ বারবার বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, দেশের মানুষ বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের কথা ভুলে নাই।

এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তেমনি আজ আমরা দেশের উন্নয়নের দিকে তাকিয়ে বলতে পারি, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্ম না হলে উন্নয়নশীল দেশের গর্বিত নাগরিক হতে পারতাম না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হবে উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। দেশে সংবিধান মেনেই নির্বাচন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে শক্তিমান, জনগণের বলে বলীয়ান। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে জয়ী করতে হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে।  

এসময় নড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদারসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও মিলাদে অংশগ্রহণ করেন উপমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।