ঢাকা: সরকারকে ভণ্ড, প্রতারক ও ধোঁকাবাজ অ্যাখ্যা দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, তারা যে ধোঁকাবাজির আয়োজন করেছে, ...নিজেরা-নিজেরা, আওয়ামী লীগ-আওয়ামী লীগ; নৌকা, ঈগল, ট্রাক সব আওয়ামী লীগের। তাই এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করা আমাদের প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ‘গণঅধিকার পরিষদের গণসংযোগে হামলা, মিথ্যা মামলায় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং একতরফা ডামি নির্বাচনের তফসিল বাতিল ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে’ এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সরকার ফিলিস্তিনিদের নিয়ে মায়া কান্না কাঁদছে মন্তব্য করে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক বলেন, আজকে যখন নিরীহ-নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর ইসরায়েলি হামলা হচ্ছে, তখন সারাবিশ্বে তার প্রতিবাদ হচ্ছে। আমরা প্রতিবাদ করছি। শেখ হাসিনার সরকারও মায়া কান্না দেখাচ্ছে। অথচ নিজ দেশকেই তারা আজকে ফিলিস্তিন বানিয়ে গণতন্ত্রকামীদের ইসরায়েলিদের মতো নির্যাতন, নিপীড়ন, গুম, খুন, হত্যা করছে। আবার তারা ফিলিস্তিনিদের জন্য মায়াকান্না দেখাচ্ছে। ইসরায়েলের সঙ্গে গত এক বছরে ১২০ কোটি টাকার বাণিজ্য করেছে। গোয়েন্দা নজরদারির যন্ত্রপাতি কিনেছে৷ মোসাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য পাসপোর্ট থেকে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ তুলে দিয়েছে। কত বড় ভণ্ড, ধোঁকাবাজ তারা।
গণঅধিকার পরিষদের ওপর বুধবার (৩ জানুয়ারি) হামলা করা হয়েছে জানিয়ে দলটির এই নেতা বলেন, গতকাল বাংলামোটরে গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে গুন্ডাবাহিনী। আজকে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে তাদের একজনের নাক ফাটিয়ে দিয়েছে। তারা (সরকার) একটি ভয়ঙ্কর পরিবেশ তৈরি করার জন্য বিরোধী দলের সিনিয়র নেতাদের গাড়ি-বাড়িতে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। তাই আমরা বলেছি, বিরোধী দলের ওপর হামলা করে তারা এর দায় বিরোধী দলের ওপরই চাপাতে চায়।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে দুইবার তুলে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, আমরা যখন বাসায় যাই, তখন প্রতিদিন আমাদের সঙ্গে নেতা-কর্মী থাকে না। আমরা প্রায় দেখি আমাদের মোটরসাইকেল ও কালো গাড়ি ফলো করে। এই মাফিয়াদের কাছে আমরা বিচার পাবো না। আমরা দেশবাসীকে জানিয়ে রাখছি, যেদিন এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, সেদিন এই শকুনদের যেন বিচারের মুখোমুখী করা হয়।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খান, গণমাধ্যম সম্পাদক আবু হানিফ, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর হোসেন মামুন, গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির শাকিল, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২৪
এসসি/এইচএ/