ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

নাটোরে ছাত্রলীগের দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৭

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৪
নাটোরে ছাত্রলীগের দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৭

নাটোর: নাটোরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করার সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধসহ সাতজন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (০৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়া এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।  

গুলিবিদ্ধ জাহাঙ্গীর (৪৫) স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপের মালিক।  

অন্য আহতদের মধ্যে সদর উপজেলার দস্তনাবাদ গ্রামের মো. রহমত আলীর ছেলে মো. আফজাল হোসেন (৩০), করোটা গ্রামের খোকনের ছেলে রোকনুজ্জামান (২৭) ও শহরের মল্লিকহাটি এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. রাহুল খান হীরার (২৭) নাম ঠিকানা জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। সকাল ১০টার দিকে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও তার সমর্থকরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছিলেন। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীনসহ তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান করতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় তিন রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এতে স্থানীয় জাহাঙ্গীর গুলিবিদ্ধসহ প্রায় সাতজন আহত হন।


জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির সমর্থকরা গুলি ছুড়েছেন বলে দাবি করেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী।  

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

এদিকে নাটোর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আবু সাইদ সরকার জানান, আহত কারো অবস্থা গুরুতর নয়।  

নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গোলাম রাব্বানী শেখ বাংলানিউজকে জানান, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকালে তারা কেক কেটে অনুষ্ঠান করছিলেন। অনুষ্ঠানটি শেষ করে তারা আরেকটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য বের হওয়ার সময় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পার্টি অফিসে আসছেন বলে জানতে পারেন। এসময় তারা তাদের অফিসে ঢুকতে নিষেধ করেন। কারণ, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ বিন আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীনসহ তাদের অনুসারীরা নৌকার বিপক্ষে কাজ করছেন। এজন্য পার্টি অফিসে নৌকা বিরোধীরা যাতে কোনো প্রোগ্রাম করতে না পারেন, সেজন্য নিষেধ করে অন্য জায়গায় প্রোগ্রাম করতে বলি। এতে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদের গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে আমাদের ওপর হামলাও করেন তারা। এছাড়া তারা আমাদের ওপর কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়েন। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে আমরা পার্টি অফিসে গেলে ছাত্রলীগের নামধারী সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে সভাপতিসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমাদের দাবি, পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে তিন রাউন্ড গুলির খোসা ও একটি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ব্যাপারে সোহানুর রহমান বাদী হয়ে ২২ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।