ঢাকা: বিএনপি আবার ২০১৪ সালের মতো অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, দেশের মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চায় না। তারা আলোকিত থাকতে চায়।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর মনিপুরী পাড়ার বাছা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে তারা (বিএনপি) যেভাবে মানুষ হত্যা করেছে, আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছে, সম্পদ পুড়িয়েছে, সেই কাণ্ডটি আবার শুরু করেছে। এ দেশের মানুষ আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চায় না, আলোকিত থাকতে চায়। সেজন্য এদেশের মানুষ কোনো ভীতিতে ভীত না হয়ে সু্ন্দরভাবে সারাদেশে আজ ভোট দেবে এং নতুনভাবে আরেকটি সরকার খুব শিগগির আপনারা দেখবেন।
দেশের মানুষ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে জানিয়ে তিনি মন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। ২০১৪ সালে তারা (বিএনপি) নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা সহিংসতা করেছে, জঙ্গির উত্থান ঘটিয়েছে, অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষ হত্যা করেছে, খুন-জখম করেছে, সম্পদ ধ্বংস করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেডের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় নেত্রীকে উড়িয়ে দেওয়ার একটি চেষ্টা করেছিল। সেজন্য এদেশের মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা এটা সুনিশ্চিত হয়ে ২০১৮ সালে নির্বাচন করে ছয়টি আসন পেয়েছিল। পরাজয় সুনিশ্চিত দেখে তাদের মনে উপলব্ধি এসেছে, এদেশের মানুষ আর তাদের ভোট দেবে না। তখনই তারা এই ভোট বর্জন শুরু করেছে। নানান ধরনের বাহানা, নানান ধরনের দাবি তুলে নির্বাচন বর্জন করার একটি কৌশল তারা বের করেছে।
আসাদুজ্জামান বলেন, আজ ৭ জানুয়ারি সারাদেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আমরা মনে করি এই নির্বাচন সুন্দরভাবে, ভালোভাবে হবে।
বিএনপিসহ বিভিন্ন দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, কে নির্বাচনে এলো, কে নির্বাচনে এলো না, সেটি বড় কথা নয়। নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণভাবে সুন্দরভাবে হয়েছে কি না সেটি দেখার বিষয়। এদেশের মানুষ কখনোই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসকে বিশ্বাস করে না। অগ্নিসন্ত্রাসকে তারা (জনগণ) ধিক্কার দিচ্ছে। সেজন্যই তারা (বিএনপি) সুনিশ্চিত, তারা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কাজেই তারা (বিএনপি) সবসময়ই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিদেশে তাদের প্রভুদের প্রভাবিত করে নতুন কিছু ঘটানোর চেষ্টা তারা সব সময়ই করেছে। সব সময়ই তারা এই ষড়যন্ত্রগুলো করে এসেছে। কখনো পেশিশক্তি, কখনো গান পাওয়ারের মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় এসেছে। কাজেই এবার তারা কোনোভাবেই জনগণকে আকৃষ্ট করতে পারবে না, সেজন্য এই পথটি বেছে নিয়েছে।
ভোটার উপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকার বাসিন্দাদের মাইগ্রেশন হয়। কখনো তারা কলাবাগান থাকেন, কখনো মনিপুরী পাড়ায় আসেন, কখনো আবার মনিপুরী পাড়া থেকে উত্তরায় চলে যান। যার কারণে আজকে বাস ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি এরা আসবেন। যতই সময় বাড়বে, ততই ভোটারের উপস্থিতি বাড়বে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২১টি ভোট কেন্দ্রে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে, এই বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে হাজার হাজার কেন্দ্র। সেই তুলনায় ২১টি কেন্দ্র অনেক কম। ২১টি কেন্দ্রে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আমরা মনে করি, মানুষ সুন্দরভাবে তাদের ভোট দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৪
এসসি/এইচএ/