নারায়ণগঞ্জ: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে গেছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে তার।
এতে তার জামানতই বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যদিও নির্বাচনের শুরু থেকে নিজেকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে দাবি করে আসছিলেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এ নেতা।
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে সোনালি আঁশ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন অ্যাডভোকেট তৈমুর।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে জানা যায়, আসনটিতে চতুর্থবারের মতো বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি এক লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান ভূঁইয়া কেটলি প্রতীকে ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট পেয়েছেন।
আর তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন মাত্র তিন হাজার ১৯০ ভোট। সেই হিসাবে জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে তৈমুরের ব্যবধান এক লাখ ৫৩ হাজার ২৯৩ ভোটের।
এই আসনে মোট ভোট পড়েছে দুই লাখ ১২ হাজার ৬২৪টি।
বিধান অনুযায়ী, মোট প্রদত্ত ভোটের অন্তত সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সেই হিসাবে জামানত বাঁচাতে তৈমুর আলমের প্রয়োজন ছিল অন্তত ২৬ হাজার ৫৭৮ ভোটের।
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে এমন হার দেখতে হয়েছে বলে দাবি তৈমুর আলম খন্দকারের।
রোববার সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর পর পরই তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। নৌকা প্রার্থী টাকা বিলি করে ভোট কিনছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তৈমুর বলেছিলেন, নৌকার প্রার্থী টাকা বিলি করছে আমরা অভিযোগ করে আসছি। মিডিয়াতেও এসেছে এটা। একজন পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল রাতে বরপা এলাকায় আমার এজেন্টদের পিটিয়ে এসেছে ছাত্রলীগ, যুবলীগের ছেলেরা।
মাটি কামড়ে হলেও নির্বাচনের শেষ দেখবেন বলে জানান তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৪
এসএএইচ